Holi 2024: জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে হেঁটে হোলি পালন! কোথায় রয়েছে এমন রীতি? দেখুন ভিডিয়ো
এই সময় | ২৫ মার্চ ২০২৪
দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে হোলি উৎসব। তারকা থেকে রাজনীতিক কেউ বাদ দেয়নি। সকলেই নিজেদের মতো করে মেতেছেন হোলি উৎসব উদযাপনে। বহু প্রাচীনকাল থেকে এই রং খেলার রীতি শুরু হয়েছিল ভারতের বুকে। তাই বাংলার বাইরে গোটা দেশেই এই খেলা হয়। বাংলায় আবির মাখানোর এই খেলা দোল নামে পরিচিত হলেও গোটা দেশে এর নাম ভিন্ন ভিন্ন। আবার নাম বিশেষে হোলির ধরনটাও আলাদা, মজার, ঐতিহ্যের। লাঠমার হোলি থেকে মশান হোলি, ফাগুয়া থেকে শিমগা তেমনই ঐতিহ্যের হোলি।
প্রতি বছরের মতো এবারও গুজরাটের খেদাতে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পালিত হচ্ছে হোলি। দেশ-বিদেশের মানুষ এখানকার হোলি উদযাপনের সাক্ষী থাকতে ভিড় জমান। জানলে অবাক হবেন ভারতের বুকেই রয়েছে এমন এক জায়গা যেখানকার বাসিন্দারা প্রতি বছর জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডের মধ্য়ে হেঁটে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে হোলি উদযাপন করে। খেদার পালানা গ্রামে, জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডের মধ্যে হেঁটে 'হোলিকা দহন' উদযাপনে মাতে মানুষ।
লাঠমার কথার অর্থ 'লাঠি দিয়ে মার'। কৃষ্ণ রাধার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তখনই একসঙ্গে এগিয়ে আসছেন গোপিনীরা। সবাই মিলে কৃষ্ণকে তাড়া করেন। হাতে লাঠি থাকায় মুখেও তাদের ছিল সেই একই বুলি। তাই এই বিশেষ ভাবনায় কৃষ্ণ ও রাধার হোলি খেলা উদযাপিত হয় উত্তর প্রদেশের মথুরার নিকটবর্তী নন্দগ্রাম ও বর্ষণা গ্রামে। প্রসঙ্গত, মনে করা হয়, এখানেই ভারতে প্রথম হোলি খেলা শুরু হয়েছিল। হোলির আনুষ্ঠানিক তারিখ যাই হোক না কেন, বর্ষণায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় হোলি খেলা। হোলির থিম – লাঠমার!
অন্যদিকে, রাধাকৃষ্ণের লীলাক্ষেত্র বলে পরিচিত উত্তর ভারতের ব্রজভূম বা মথুরা-বৃন্দাবনে প্রায় ৪০ দিন ধরে চলে হোলি উৎসব। বসন্ত পঞ্চমী থেকে শুরু হয় উদ্যাপন। মন্দিরের পর মন্দির রাঙা হয়ে ওঠে ফাগে আর পিচকারির রঙে। সারা দেশ তো বটেই, ভারতের বাইরে থেকেও হোলিতে অংশ নিতে আসেন পর্যটকেরা। শুধু মথুরা-বৃন্দাবনই নয়, হোলির আগেই আবির খেলায় মেতে উঠেছেন উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুনিরাও। অন্যদিকে, যমুনা নদীর তীর জুড়ে এই ব্রজভূমি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলাক্ষেত্র। শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে রং খেলা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে। তাই আজও ব্রজভূমিতে রং খেলার অন্যই রূপ। এখানে দোল শুরু হয় লাড্ডু হোলি দিয়ে।