শ্রীরামপুরে মুখোমুখি প্রাক্তন শ্বশুর-জামাই, কল্যাণকে নিয়ে কী বললেন BJP প্রার্থী কবীর শঙ্কর?
এই সময় | ২৫ মার্চ ২০২৪
প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রী লড়াই দেখছে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর কেন্দ্র। বিজেপির প্রার্থী সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা খাঁ। এবার প্রাক্তন শ্বশুর - জামাইয়ের লড়াই দেখতে চলেছে হুগলি জেলার শ্রীরামপুর কেন্দ্র। তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি তাঁর প্রাক্তন জামাতা কবীরশঙ্কর বসু।রবিবার রাতেই পশ্চিমবঙ্গের জন্য দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। রাজ্যের ১৯টি আসনের মধ্যে শ্রীরামপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করে আইনজীবী কবীরশঙ্কর বসুকে। এক আইনজীবীর বদলে আরেক আইনজীবীর লড়াই। তবে তাঁর থেকেও বড় হয়ে উঠেছে প্রাক্তন জামাই-শ্বশুরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
বেশ কয়েক বছর আগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের সঙ্গে বিবাহ হয় কবীরশঙ্করের। ২০১৭ সালে তাঁদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কবীর শঙ্কর বসু সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তবে নিজের পেশাগত জগৎ ছেড়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন ২০১৯ সালে। গতবার বিধানসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর আসন থেকে লড়েছিলেন কবীরশঙ্কর বসু। যদিও, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর কাছে হারতে হয়েছিল তাঁকে।
তবে, ব্যাক্তিগত সম্পর্কের উর্ধ্বে গিয়ে এবারের লড়াইটা কেমন? কবীরশঙ্কর বলেন, ‘বিজেপি আমার প্রতি বিশ্বাস রেখে আমাকে প্রার্থী করেছে। এই আসনটি আমার তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া কর্তব্য।’ তবে প্রাক্তন সম্পর্ক নিয়ে কবীরশঙ্কর বলেন, ‘অতীত সবার আছে। আজকের দিনে উনি আমার বিরোধী দলের প্রার্থী। ওঁর সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে লড়ব। মডেল কোড অব কন্ডাক্ট বলা হয়েছে, ব্যাক্তিগত আক্রমণ কাউকে করা যাবে না। এটা রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্র।’ জেতার ব্যাপারে একশো শতাংশ নিশ্চিত বলেই দাবি প্রার্থীর।
হুগলি জেলার শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে টানা তিনবার জিতে এসেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেকবারই জয়ের ব্যবধান বজায় রেখেছেন এক থেকে দুই লাখের মধ্যে। গতবারও বিজেপি প্রার্থী দেবজিত সরকারকে এক লাখের বেশি ব্যবধানে হারান কল্যাণ। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থীকে নিয়ে সোমবার কল্যাণ বলেন, ‘কেউ ফ্যাক্টর হবে না।’ তবে, শ্রীরামপুরবাসী যে এবার একটি অন্য লড়াই দেখতে চলছে, সে কথা বলাই বাহুল্য।
এই কেন্দ্র থেকে এবার প্রার্থী বদল করা হতে পারে, সেরকমই সম্ভাবনা ছিল শুরু থেকেই। কিছুদিন আগে থেকেই শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া ও চাঁপদানি বিধানসভা এলাকায় কবীর শঙ্কর বসুকে দেখা গিয়েছে একাধিকবার। তখন থেকেই তাঁকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে জল্পনা চলছিল। রবিবার নাম ঘোষণা হওয়ার পর বিষয়টি পরিষ্কার হয়।