বজ্রবিদ্যুৎ সহ তুমুল ঝড়বৃষ্টি! সপ্তাহজুড়ে প্রবল দুর্যোগের পূর্বাভাস সিকিমে
এই সময় | ২৬ মার্চ ২০২৪
রঙের উৎসবে মাতোয়ারা গোটা দেশ। কোথাও উড়ল আবির, কোথাও আবার জল রঙে দিয়ে খেলা হোল হোলি। এদিকে, উত্তর পূর্ব ভারত অবিরাম বৃষ্টি। দুর্যোগের মধ্যেই কাটল উৎসব। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, এ তো কেবলমাত্র ট্রেলর, চলতি সপ্তাহ জুড়েই প্রবল ঝড়বৃষ্টি চলবে সিকিম সহ সেভেন সিস্টার্সে।কোন কোন অংশে চলবে দুর্যোগ?প্রাক বর্ষার মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে দেশের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে। চলতি সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতেও প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস মোতাবেক, উত্তর পূর্ব অসমে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। যার জেরে অসম এবং তার আশপাশের অঞ্চলে প্রবল দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর পশ্চিম বিহার এবং দক্ষিণ পূর্ব অসম। বাংলাদেশেও এই ঘূর্ণাবর্তের জেরে আবহাওয়া পরিবর্তন হতে চলেছে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই।
এই ঘূর্ণাবর্তের জেরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হবে অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা সহ পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চলে। মঙ্গলবার থেকে আগামী কয়েকদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বিহার ঝাড়খণ্ড এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও।
বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হবে অরুণাচল প্রদেশে আগামী দু'দিন। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, সিকিমে সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ সব বৃষ্টিপাত। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাত চলবে। মঙ্গলবার বৃষ্টি শুরু হবে অসম এবং মেঘালয়ে। তবে এই রেইনি ওয়েদার সত্ত্বেও দিনের বেলায় উল্লিখিত রাজ্যগুলির প্রত্যেকটিতেই তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। তিন থেকে চারদিন পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়বে দিনের বেলায়। পূর্ব ভারতেই তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী হবে।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত অরুণাচল প্রদেশে ৩৯.৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অসম-মেঘালয়ে ৬.৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্য যেমন পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে ৪৫.১ মিলিমিটার, ঝাড়খণ্ডে ৩০.৮ মিলিমিটার এবং ওডিশাতে ৪৫.৮ মিলিমিটার। এই তিন রাজ্যে যথাক্রমে ১৪১ শতাং, ১৬৮ শতাংশ এবং ১৯৭ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
সিকিমের ভয়াবহ বিপর্যয়সোমবার প্রবল দুর্যোগের জেরে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে ভয়াবহ ধস নামে। যার ফলে গ্যাংটক থেকে লাচুং যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিপদে পড়েছেন একাধিক পর্যটক। বহু মানুষের সেখানে আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। কোনও গাড়িকে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে দেওয়া হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে গ্যাংটক থেকে লাচুং যাওয়ার পরিকল্পনা কার্যত ভেস্তে গিয়েছে পর্যটকদের। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।