• JP Nadda: জেপি নাড্ডার বাঙালি স্ত্রীর ৪০ লাখি গাড়ি চুরি, ৬ দিনেও অধরা চোর
    এই সময় | ২৬ মার্চ ২০২৪
  • বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার স্ত্রীর গাড়ি চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। জেপি নাড্ডার স্ত্রী মল্লিকা নাড্ডার গাড়ি চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। দিল্লির গোবিন্দপুরী এলাকায় একটি সার্ভিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল গাড়িটিকে। সেখান থেকে গাড়িটি চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। তদন্ত শুরু করেছ পুলিশ।কী গাড়ি ব্যবহার করেন জেপি নাড্ডার স্ত্রী? কবে চুরি?

    ফরচুনা গাড়ি ব্যবহার করেন জেপি নাড্ডার স্ত্রী মল্লিকা। থানায় গাড়ি চুরির অভিযোগ জানিয়েছেন গাড়ির সংশ্লিষ্ট চালক। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই এফআইআর নথিভুক্ত হয়েছে। অভিযোগে চালক জানিয়েছেন, গত ১৯ মার্চ তিনি গাড়িটি নিয়ে গিয়েছিলেন গোবিন্দপুরী এলাকার সার্ভিস সেন্টারে। গাড়িটির কলকব্জা সব ঠিক রয়েছে কিনা তা যাচাই করতেই সেটিকে নিয়ে গিয়েছিলেন সার্ভিস সেন্টারে।

    চালক জানান, দুপুর ৩টে নাগাদ গাড়িটি সার্ভি সেন্টারে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। দুপুরে খাওয়ার জন্য বাড়ি ফিরে এসেছিলেন কিছুক্ষণের জন্য। খাওয়া সেরেই ফের সার্ভিস সেন্টারে যান। অভিযোগ, ততক্ষণে উধাও হয়ে গিয়েছে গাড়িটি। এরপরেই তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সাদা ফরচুনার গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন (HP-03-D-0021) হিমাচল প্রদেশে।

    সিসিটিভি ফুটেজে কী দেখা গিয়েছে?

    চালক অভিযোগ জানানোর পরই পুলিশ এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে সন্ধান চলছে গাড়িটির। ফুটেজ অনুযায়ী, কেউ বা কারা গাড়িটিকে সম্ভবত গুরুগ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে ঘটনার পর ছয় দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত নাড্ডার স্ত্রীয়ের গাড়িটি উদ্ধার করা যায়নি। ভিন রাজ্যে চুরি করা গাড়িটিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। চুরি যাওয়া গাড়িটিকেও ট্র্যাক করার চেষ্টা চলছে। খোদ দেশের অন্যতম পরাক্রমশালী নেতার স্ত্রীর গাড়ি চুরি করার সাহস কেউ দেখাতে তা কল্পনাতেও ছিল না চালকের।

    জেপি নাড্ডার স্ত্রী কে?

    উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে জব্বলপুরের বাঙালি মল্লিকার সঙ্গে জেপি নড্ডার সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁর মা জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৭২ সালে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। জয়শ্রীদেবী ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির টিকিটে জিতেছিলেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি মধ্যপ্রদেশে মন্ত্রী ছিলেন। পরে ১৯৯০ ও ১৯৯৩ সালে পদ্ম প্রতীকে সালে পশ্চিম জব্বলপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে লোকসভা ভোটে জয় পেয়ে সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। এদিকে মল্লিকা 'স্পেশাল অলিম্পিক ভারত' নামে একটি ক্রীড়া সংগঠনের প্রধান। এই সংস্থাটি রেজিস্টার করা হয়েছিল ২০০১ সালে। এই সংগঠন কেন্দ্রীয় যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রকের অনুমোদনপ্রাপ্ত। এছাড়াও হিমাচলে সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত মল্লিকা। 'চেতনা' নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ার পিছনেও ভূমিকা রয়েছে তাঁরা। সেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করা হয়।
  • Link to this news (এই সময়)