১০০ দিনের কাজের টাকার দাবি, ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে শীতলকুচির বিধায়ক
এই সময় | ২৬ মার্চ ২০২৪
ভোট প্রচারে বেরিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন। সোমবার ছোট শালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফক্কোরেরহাট এলাকায় প্রচারে যান বিধায়ক। সেখানেই বাসিন্দারা বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ১০০ দিনের বকেয়া টাকা চেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। খবর পেয়ে শীতলকুচি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিজেপির অভিযোগ, ভোট প্রচারে বিধায়ক এলাকায় ঢুকলে তৃণমূলের নেতাদের প্ররোচনায় কিছু ব্যক্তি অশান্তি করার চেষ্টা করেন। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছে তৃণমূল।এই বিষয়ে বিধায়ক জানান, এদিন তিনি এক কর্মীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে কয়েকজন দেখা করতে আসেন। এরই মাঝে কয়েকজন ১০০ দিনের টাকার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। বরেনচন্দ্র বর্মেনর অভিযোগ, 'তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী আমায় আক্রমণ করে। অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। গুন্ডা বাহিনী বলে ১০০ দিনের কাজের টাকা, আমি বলি তোমরা হিসাব দাও, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিয়ে দেবে।' এমনকী পুলিশকে ফোন করার পরেও ইতিবাচক পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
যদিও কোচবিহার জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, 'তিনি (বরেনচন্দ্র বর্মন) শিক্ষক হিসেবে যোগ্য প্রমাণ দিতে পারেননি। তিনি নিজে রাজবংশী সমাজের মানুষ হয়েও কখনও পঞ্চানন বর্মার বাড়ি সংস্কারের দাবি তোলেননি। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায়, যতটা পরিচিতি পাওয়া উচিত তা পাননি। মানুষ ১০০ দিনের কাজের টাকা পায়নি। মানুষ তো বিধায়ককেই বলবে। যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের কোনও রং নেই। তাঁরা শ্রমজীবী মানুষ। মানুষ টাকা পায়নি, তাই তার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে বলে বারেবারেই অভিযোগ করে আসছে তৃণমূল তথা রাজ্য সরকার। এমনকী এই নিয়ে লাগাতার আন্দোলনও চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। এমনকী কয়েক মাস আগে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোন করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদেরও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আবার রাজ্যে ফিরে রাজভবন সংলগ্ন এলাকাতেও চলে ধরনা। সম্প্রতি রেড রোডে ধরনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা রাজ্য সরকারই দেবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। তারই মাঝে এবার বিক্ষোভে পড়লে বিজেপি বিধায়ক।