লম্বা উইকএন্ড, তারপরেই সোমবার এবং মঙ্গলবার দোল এবং হোলির ছুটি। ঘরে থাকতে আর কার মন চায়। ব্যাগ গুছিয়ে কাছেপিঠে দিঘায় হাজির হয়েছেন অনেকেই। তবে সোমবার দেখা মিলল অদ্ভুত দর্শনের ঢেউ। জলের মধ্যে ঘূর্ণি থাকার কারণে অনেকেই সকালের দিকে সমুদ্রে নামতে পারেননি। হিমশিম খেতে হয়েছে নুলিয়াদের।দু'দিনের ছুটি পেলেই বাঙালিরা দিঘা, মন্দারমণিতে ভিড় জমান। এবার টানা চার দিন ছুটির কারণে অনেকেই সৈকত শহরে ভিড় জমিয়েছেন। শনিবার, রবিবার ঠাসা ভিড় ছিল দিঘায়। সোমবার অনেক পর্যটক এসে হোটেলের ঘর পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। তবে, দিঘায় যাওয়া মানে তো আর ঘরে বসে থাকা নয়। সকাল থেকেই সমুদ্রে নামার জন্য উদগ্রীব ছিলেন পর্যটকরা।
তবে, এদিন সকাল থেকেই সমুদ্র স্নানে নামতে উদ্ধত হন অনেকেই। তবে সকালেই দিঘায় সমুদ্রের জলে ঘূর্ণি ছিল। ভালো টান ছিল জলের স্রোতে। সেই কারণে, অনেকেই সমুদ্রে নামতে সাহস পাননি। সমুদ্রের ঢেউয়ের ঘূর্ণিতে নামার সাহস দেখাননি অনেক পর্যটক।
দোলের ছুটিতে গন্তব্য দিঘা, এই বিষয়গুলি ভুললেই পড়তে হবে বড় সমস্যায়
নুলিয়ারা জানান, এমনিতেই পূর্ণিমা রয়েছে। তার উপর আবহাওয়া খুব একটা অনুকূল নেই। এর মধ্যে জলের স্রোতের মধ্যে ভালোরকম ঘূর্ণি ছিল। এরকম পরিস্থিতিতে সমুদ্রের জলে নামলে যে কোনও মুহূর্তে বিপদ ঘটতে পারে। সেই কারণেই পর্যটকদের সমুদ্রে না নামার জন্য সতর্ক করা হয়। পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে এদিন আটকানো হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
সমুদ্রের জলের যে টান ছিল, সেটা সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে নুলিয়াদের। সেই কারণেই পর্যটকদের সকালের দিকে সমুদ্রে নামানোর ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। তবে ভিড়ে ঠাসা দিঘায় সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। দোলের আনন্দের মাঝে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেই ব্যাপারে নজর রাখা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।
এমনিতেই দিঘা উপকূলে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়লে জেলা প্রশাসনের তরফে বাড়তি সর্তকতা নেওয়া হয়। সমুদ্রের জলে তলিয়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার উদাহরণ রয়েছে একাধিক। পর্যটকদের অসাবধানতার কারণে অনেক সময় বিপদ ডেকে আনেন তাঁরা। ফলত, এই আনন্দ উৎসবের মাঝে এবারেও যেন কোনও বিপত্তি না ঘটে, সেই ব্যাপারেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।