প্রত্যাশিতই ছিল। যথারীতি হার্দিক পান্ডিয়াকে টিটকিরি দিলেন গুজরাটের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের দর্শকরা। সেই দৃশ্য রবিবারেই দেখেছে আইপিএল দুনিয়া। হার্দিক পরপর দুই বছর গুজরাট টাইটান্স-এর অধিনায়ক ছিলেন। ২০২২-এ দলকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছেন। ২০২৩-এ দলকে ফাইনালে তুলেছেন। চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরেছেন। সেই হার্দিকই এবার টাইটানসদের সঙ্গ ছেড়ে ফিরেছেন পুরোনো দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে অধিনায়ক হয়ে।
রবিবার সদ্য ছেড়ে আসা দল গুজরাট টাইটানসের সঙ্গেই ছিল আবার হার্দিক বাহিনীর ম্যাচ। স্থান গুজরাটের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। স্বভাবতই দর্শকরা যেন তৈরি হয়েই ছিলেন হার্দিককে টিটকিরিতে ভরিয়ে দিতে। এ যেমন গুজরাটের পরিবেশ। মুম্বই দলেও হার্দিক মোটেও স্বস্তিতে নেই। ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক ছিলেন। তাঁকে সরিয়েই হার্দিক মুম্বইয়ের ক্যাপ্টেন হয়েছেন।
রোহিতের অধিনায়কত্বে পাঁচবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আইপিএল জিতেছে। এমন ক্যাপ্টেনকে সরানোটা স্বভাবতই মন থেকে মেনে নিতে পারেননি মুম্বইয়ের অনুরাগীরাও। কয়েক লক্ষ ফলোয়ার রোহিতকে অধিনায়ক পদ থেকে অপসারণের পরই মুম্বইকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলো করা ছেড়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি, রোহিত এবং তাঁর স্ত্রীও বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা এই অপসারণটা খোলা মনে মেনে নিতে পারছেন না।
আর, গুজরাটের সমর্থকরা যে হার্দিকের জন্য কী ভেবে রেখেছিলেন, তা রবিবারই স্পষ্ট করে দিলেন। পান্ডিয়া মুম্বইয়ের হয়ে টস করতে যেতেই শুরু হল গ্যালারিজুড়ে টিটকিরি দেওয়া। নানারকম শব্দ করা। ম্যাচে অবশ্য পান্ডিয়া টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, তিনি ফিল্ডিংয়ের সময় বল মিস করতেই আবার শুরু হয় টিটকিরি।
রবিবারের সেই ঘটনা তো বটেই এবার আরও বড় ঘটনা সামনে এল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে হার্দিককে টিটকিরি দেওয়ার নতুন এক ভিডিও। যে ভিডিওয় নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের গ্যালারির এক অংশের দর্শকদের কার্যত জাত-পাত তুলে গালাগালি দিতে শোনা গিয়েছে।
কী বলা হয়েছে, ভাইরাল ভিডিওয় সমর্থকদের সমস্বরে বলতে শোনা গিয়েছে ‘ছাপরি’ শব্দ। অনেকেই হয়ত জানেন না এই ‘ছাপরি’ শব্দের ব্যুৎপত্তি। ভারতের এক সম্প্রদায় রয়েছে যাঁরা অস্থায়ীভাবে ছাদ বাঁধার কাজ করেন। তাঁরা পিছিয়ে পড়া ছাপরব্যান্ড সম্প্রদায়ভুক্ত। বর্তমানে বহুল প্রচলিত এই শব্দ কাউকে অপমানের ছলে বলা হলে আদতে জাতিভেদের বৈষম্যকেই তুলে ধরা হয়।
হার্দিককে ‘ছাপরি’ বলে সম্বোধন করে সেই জাতপাতের বিতর্ককেই উস্কে দিলেন সমর্থকদের একাংশ।