প্রদ্যুত দাস: চলল হোলি, তথা দোল। আর সারাদিনই রাজ্য জুড়ে চলেছে দোলের উৎসব-গান-উদযাপন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন দিকে চলছে আনন্দযাপন।
যেমন বসন্তের রঙে সেজে উঠেছে জলপাইগুড়ির গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ময়নাগুড়ি ব্লকের রামসাই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বধুরাম বনবস্তি। এবার বসন্তের রঙে ধরা দিয়েছে বৃষ্টি। দেখা মিলেছে বৃষ্টির। আর এই বৃষ্টির জলের স্পর্শেই জেলার বিস্তীর্ণ জঙ্গলে ফিরে এসেছে প্রাণের স্পন্দন। সবুজ রঙে সেজে উঠেছে বন। আর সেই সবুজের ফাঁক দিয়েই কেউ যেন উঁকি মেরে বলছে, বসন্ত এসে গিয়েছে। বসন্তের রঙে সেজে উঠেছে জলপাইগুড়ির গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ময়নাগুড়ি ব্লকের রামসাই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বধুরাম বনবস্তি।বসন্ত উৎসবে এলাকার কচিকাঁচাদের সঙ্গে নিয়ে ধামসা-মাদল আর বাঁশির সুরে কোমর দুলিয়ে মেতে আনন্দ-উৎসবে উঠেছে আদিবাসী সমাজের প্রবীণ থেকে নতুন প্রজন্মের রিমা ওরাওঁ, বাসন্তী তিরকি। সবুজবনে আজ লাল, নীল, হলুদের রঙের মেলা। রঙ-বেরঙের আবির মেখে আনন্দে আত্মহারা এই বনবস্তির আট থেকে আশি।কথিত আছে, একসময় এই বনবস্তির মানুষ হোলির সময় শিকার করতে ব্যস্ত থাকত বন্যাঞ্চল, সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে মানসিকতা, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা বিভিন্ন প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে শিকার ভুলে গিয়ে হোলিতে তারা আবিরের রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে এই আদিবাসী গ্রাম। নাচ গানে জমজমাট জলপাইগুড়ি জেলার প্রত্যন্ত আদিবাসী-অধ্যুষিত বনবস্তির বসন্ত উৎসব।