তৃণমূলের শিকে ছেড়েনি একবারও, রায়গঞ্জে ফ্যাক্টর কী? বড় দাবি নতুন বিজেপি প্রার্থীর
এই সময় | ২৬ মার্চ ২০২৪
উত্তর দিনাজপুরে রায়গঞ্জ আসনটি থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও সাংসদকে লোকসভায় পাঠাতে পারেনি তৃণমূল। একদা, জনপ্রিয় কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি থেকে শুরু করে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম সাংসদ হন এই কেন্দ্র থেকে। বিজেপি থেকে তৃণমূলের যাওয়া কৃষ্ণ কল্যাণীকে এবার প্রার্থী করেছে ঘাসফুল শিবির। উল্টোদিকে, বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল জানাচ্ছেন, এই কেন্দ্রে তৃণমূল নয় কংগ্রেস প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।পেশায় ব্যবসায়ী কার্তিক চন্দ্র পাল ২০১৫ সালে কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হন। এর পর কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। ফলে, পুরসভা তৃণমূলের দখলে যায়। তিনি কালিয়াগঞ্জ পুরসভার পুরপিতা হন। ২০২০ সালের ১৯শে ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একই মঞ্চে বিজেপিতে যোগ দেন কার্তিক। পরের বছর কালিয়াগঞ্জ পুরসভা ভোটে কার্তিকের নেতৃত্বে লড়ে সাতটি ওয়ার্ড দখল করে বিজেপি। বর্তমানে কার্তিক বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন।
বিজেপির প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, ‘এবারের লড়াইটা কংগ্রেসের সঙ্গে হবে। তৃণমূলের সঙ্গে নয়। তৃণমূলের বেশ কিছু নেতাকর্মী আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। আমাকে ভালবাসে। তাদের দেহটা ওখানে থাকলেও মনটা আমার দিকে আছে। তাঁর বক্তব্য, দীর্ঘদিন কালিয়াগঞ্জ পুরসভার দায়িত্বে থাকাটাই তাঁর কাছে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ হবে। উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রে বিজেপির বিদায়ী সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে প্রার্থী হিসেবে মানতে নারাজ ছিল জেলা বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। সেক্ষেত্রে নতুন প্রার্থী কী চমক দেখাবেন, অপেক্ষায় রায়গঞ্জবাসী।
রঙের উৎসবের দিন থেকেই জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়লেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল। সোমবার দুপুরে কালিয়াগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বয়রা কালী মন্দিরে মায়ের কাছে নির্বাচনে জয়ের প্রার্থণা জানিয়ে নিষ্ঠাভরে পুজো দেন। এরপরেই জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ও দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে প্রচারে বেরিয়ে পড়েন কার্তিক পাল। মারোয়ারী পট্টীতে দোল উৎসবে সামিল হন তিনি৷ তারপর কালিয়াগঞ্জের শ্রীকলোনিতে অবস্থিত প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির পূর্ণাবয়ব মূর্তিতে মাল্যদান করেন।
দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাহেবঘাটা এলাকায় গত বছর এপ্রিল মাসে মৃত নাবালিকার সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে রাধিকাপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের সমাধিস্থলেও মাল্যদান করেন। পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। দুই পরিবার যাতে ন্যায় বিচার তার জন্য তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল। রবিবার রাতেই দিল্লি থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে কার্তিক পালের ঘোষণা করা হয় রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে৷ বিদায়ী সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হয়।