অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এই দাবি নিয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবন ঘেরাওয়ের ডাক দেয় আম আদমি পার্টির কর্মীরা। দিল্লি পুলিশের তরফে এই কর্মসূচির কোনও অনুমতি মেলেনি। তা সত্ত্বেও লোককল্যাণ মার্গে পৌঁছে যায় আপ কর্মীরা। ব্যারিকেড করে তাদের আটকে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় হুলস্থুল কাণ্ড বাঁধে রাজধানীতে। পালটা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে BJP কর্মীরাও।কেজরির 'ওয়ার্ক ফ্রম জেল'এদিকে, ফের একবার জেল থেকে অর্ডার জারি করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। জল দফতরের পর এবার স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য নির্দেশ জারি করলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মঙ্গলবার জারি করা অর্ডার অনুযায়ী, স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সমস্ত মহল্লা ক্লিনিকে পর্যাপ্ত ঔষুধ পৌঁছে দিতে হবে। ক্যাবিনেট মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ কেজরিওয়ালের নির্দেশ সংবাদমাধ্যমে জানান। তিনি বলেন, 'দিল্লির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জেলে রয়েছেন বলে আরও চিন্তা করছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে যেন রাজধানীর মানুষ কোনওভাবেই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন কেজরিওয়াল। তিনি খবর পেয়েছেন, মহল্লা ক্লিনিকে যেভাবে পরীক্ষা হচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। এই পরিস্থিতির সমাধান চাইছেন তিনি। আমি সকলকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই, আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী জেলে থাকলেও আপনাদের কথাই ভাবছেন সর্বদা।'
জেলে বসেই সরকার চালাচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জেল থেকে বসেই তিনি দিল্লির জল দফতরের জন্য নোটিশ পাঠিয়েছেন। দিল্লির মন্ত্রী অতিশি কেজরিওয়ালের পাঠানো ওই চিরকুট নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেন। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ইডি। অরিবন্দ কেজরিওয়ালকে জেলের মধ্যে কম্পিউটার বা লেখার কাগজ দেওয়াই হয়নি তাহলে কী ভাবে অতিশি দাবি করলেন, জেলে বসেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রথম আদেশ পাঠিয়েছেন? এই বিষয়টি নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেজরিওকে লেখার কাগজ বা কম্পিউটার কিছুই দেওয়া হয়নি। তাহলে কী ভাবে অতিশিকে নির্দেশ দিলেন তিনি? বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করেছে ED।
স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়ালও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির পর দেওয়া প্রথম বার্তাটি পড়ে শুনিয়েছিলেন। কী ভাবে তিনি যোগাযোগ করলেন তা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। BJP-র তরফেও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন একাধিক নেতা। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ চাইছেন তারা।