• Sikkim Tourism : অগাস্ট পর্যন্ত সিকিমে বেড়ানো নিরাপদ নয়! সাবধানবাণী আইআইটি অধ্যাপকের
    এই সময় | ২৬ মার্চ ২০২৪
  • রূপসা ঘোষাল | এই সময় ডিজিটালটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম। গ্যাংটক থেকে লাচুং যাওয়ার রাস্তায় ধস নেমে বিপত্তি ঘটেছে। দোলের দিন বেড়াতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। অসংখ্য মানুষ মাঝপথে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে পাহাড় থেকে মাঝে মধ্যেই গড়িয়ে আসছে পাথর। ফলে ত্রস্ত হয়ে রয়েছেন সকলে। সিকিম কি তবে পর্যটকদের জন্য নিরাপদ নয়?

    গত অক্টোবর মাসেই তিস্তা নদীর জলস্ফীতির জেরে লাচুং নদী ফুলে ফেঁপে ওঠে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাস্তাঘাট, একাধিক সেতু বিপর্যস্ত হয়। দীর্ঘদিন ধরে পর্যটন ব্যাহত হয়। রাস্তা বন্ধের কারণে ঘুরপথে সিকিমের নানা টুরিস্ট স্পটে পৌঁছতে হয় পর্যটকদের। বারবার কেন এমনটা হচ্ছে সিকিমে। জনপ্রিয় এই পর্যটন স্থলে বেড়াতে যাওয়া যেন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে? এই নিয়ে কী মত বিশেষজ্ঞদের?

    এই সময় ডিজিটালকে IIT খড়গপুরের জিওলজি এবং জিওফিজিক্স বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক শংকর কুমার নাথ বলেন, 'ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে অগাস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত সিকিমের মতো পাহাড়ি এলাকায় পর্যটকদের যাওয়া একেবারেই নিরাপদ নয়। অগাস্টের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত এই জায়গাগুলি নিরাপদ। তবে যেই বর্ষা নামে, পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। স্থলভাগের বর্ষাকাল এবং পাহাড়ের বর্ষাকাল একদম আলাদা। আমি জানি এর মধ্যে গরমের ছুটি পড়ে, তখন পর্যটকদের ঢল নামে পাহাড়ে। কিন্তু, এই সময়টা ওয়েদার লেয়ার স্পর্শকাতর হয়ে যায়, একটু কম্পন হলেই গ্র্যাভিটি ফেলিওর হয়।'

    কেন বারবার সিকিমে বিপর্যয়?ধসপ্রবণ এলাকা সিকিম। ফলে এই ধরণের ঘনঘন বিপর্যয় ভবিতব্য। এমনটাই মত IIT অধ্যাপকের। শংকর কুমার নাথ বলেন, 'এটাকে বলে গ্র্যাভিটি ফেলিওর। বিন্দুমাত্র ছোট কম্পনও যদি হয়, ধস নামতে পারে সিকিমে। এটি পুরোটিই একটি ধস প্রবণ এলাকা। ফলে যে কোনও সময় এই ধরণের বিপর্যয় ঘটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। লাচুংয়ের মতো টুরিস্ট স্পটে ঘন ঘন কম্পন হয়। দার্জিলিং, সিকিম সবসময়ই ভূমিকম্প প্রবণ। সাড়ে চার, পাঁচ মাত্রার কম্পন এখানে প্রায়শই হতে থাকে।'

    প্রকৃতিকে রুষ্ট করছে মানুষই। এমনটাই মনে করছেন এই বিশেষজ্ঞ। শংকর কুমার নাথ বলেন, 'প্রকৃতির বিপক্ষে গেলে এই ধরণের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। গাছ কেটে ফেলা একটা বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। ভীষণভাবে প্রকৃতির বিরুদ্ধে কাজ করছি আমরা।'

    হোমস্টের জন্য পাহাড়ে বিপর্যয়?IIT গবেষক বলেন, 'এখন সিকিমে এত বেশি পর্যটক যাচ্ছেন, ওখানে একটি ছোটখাটো টাউনশিপ তৈরি করা হয়েছে। হোম স্টে একটা নতুন বিষয়। আগে আমরা বেড়াতে গিয়ে হোটেলে থাকতাম। পাহাড়ের ঢালে প্রচুর হোটেল তৈরি হত। এখন তৈরি হচ্ছে হোম স্টে। এর জন্য আরও গাছ কাটা হচ্ছে। প্রকৃতিকে আরও রুষ্ট করছি আমরা।'
  • Link to this news (এই সময়)