সন্দেশখালিতে মহিলা আন্দোলনের অন্য়তম মুখ রেখা পাত্রকে বহিরহাটের প্রার্থী করে রীতিমতো চমকে দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, ১০ বছর পর বসিরহাটে 'ভোট যোদ্ধা' হিসেবে হাজি নুরুল ইসলামের উপর ভরসা রেখেছে তৃণমূল।২০০৯ সালে যখন রাজ্যের মসনদ তৃণমূল দখল করেনি সেই সময় দলের হয়ে বসিরহাট 'জয় করেছিলেন' তিনি। তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অবশ্য তাঁকে আর প্রার্থী করা হয়নি। এবার সন্দেশখালি নিয়ে যখন বিজেপি কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে, তখন সেই পুরনো আস্থাভাজন সৈনিককেই ভোট যুদ্ধে নামিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।
আমরা মাথা উঁচু করে ভোট চাইতে যাবহাজি নুরুল ইসলাম
নুসরতের স্টার ‘দম’ এবং সন্দেশখালির ‘ভূমিকন্যা’ রেখা পাত্র-এই দুই ফ্যাক্টরের মোকাবিলা কী ভাবে করবেন হাজি নুরুল ইসলাম? এই সময় ডিজিটাল-এ এক্সক্লুসিভলি মুখ খুললেন তিনি।
হাজি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বসিরহাটবাসীর কাছে হাজি নুরুল ইসলাম নতুন কোনও নাম নয়। তাঁকে গোটা বসিরহাটবাসী চেনেন। এই অর্থে কে বিজেপির প্রার্থী হলেন, তা আমাদের কাছে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। মানুষ আমাদের কাছে ছিলেন, আছেন এবং আগামীতেও থাকবেন। মানুষ আমাকে চেনে। উন্নয়নে মানুষের পাশে থেকেছি। তাঁদের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছি। আমরা মাথা উঁচু করে ভোট চাইতে যাব। যে সাড়া আজ আমরা পাচ্ছি, তা আগামীতেও পাব বলে মনে করছি।’
এদিকে নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে একাধিক সময় বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। ভরা কোভিডে একবারও নিজের কেন্দ্রে না গিয়ে রিল ভিডিয়ো করা নিয়ে বহিরহাটের বিদায়ী সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বাম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। পাশাপাশি সন্দেশখালি নিয়ে যখন গোটা রাজ্য তোলপাড় সেই সময় নিজের কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্যও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল নুসরতকে।
রেখা পাত্রকে প্রার্থী করা কি বিজেপির 'মাস্টারস্ট্রোক' বলে আপনি মনে করেন?হ্যাঁনাজানি না
এই ফ্যাক্টরগুলি কোথাও গিয়ে কি ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের উপর প্রভাব ফেলতে পারে? তা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। যদিও এই জটিল রাজনৈতিক সমীকরণ সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন হাজি নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নুসরত জাহান দলের প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি কী করেছেন, না করেছেন, তা নিয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাই না। আমার বসিরহাটবাসীর সঙ্গে কী সম্পর্ক তাও সকলের জানা।’
এদিকে শুরুতেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ দাবি করেছিল, রেখা পাত্রকে প্রার্থী করা বিজেপির ‘মাস্টারস্ট্রোক’। কিন্তু, ইতিমধ্যেই তাঁকে নিয়ে সন্দেশখালির আন্দোলনকারীদের একাংশের মধ্যেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে।