'তিহারে বসেই খেলা হবে', শতাব্দীর দেওয়াল লিখন ঘিরে হইচই বীরভূমে
এই সময় | ২৬ মার্চ ২০২৪
বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে ফের একবার শতাব্দী রায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর সমর্থনে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচার ও দেওয়াল লিখনও। এরই মাঝে শতাব্দী রায়ের নামে একটি দেওয়াল লিখনের লেখাকে ঘিরে ছড়াল চাঞ্চল্য। দেওয়ালে শতাব্দী রায়ের নামের সঙ্গে তাঁকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান হয়েছে। একইসঙ্গে লেখা 'তিহারে বসেই খেলা হবে'। বীরভূমের দুবরাজপুরের হেতমপুরে ওই দেওয়াল লিখনে 'তিহারে বসেই খেলা হবে' লেখাটিকে ঘিরে খুব স্বভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলার রাজনৈতিকমহলে।এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'মানুষের আবেগ তো ব্যাকরণ মেনে চলে না। মানুষের আবদনের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল মিশে আছেন। যখনই বড় কোনও কর্মসূচি সামনে আসে, সে নির্বাচন হোক বা জনসভা, খুব স্বাভাবিকভাবেই অনুব্রত মণ্ডলের নাম সামনে আসে। মানুষ চাইছে অনুব্রত মণ্ডলকে সামনে রেখেই আগামী নির্বাচনে লড়াই করতে।' এদিকে এই ঘটনায় দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহার কটাক্ষ, 'তিহারে বসে অনুব্রত মণ্ডল খেলবেন না, পরিবর্তে বাংলার মানুষ খেলা করবে তৃণমূলের সঙ্গে।'
প্রসঙ্গত, গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। বর্তমানে তাঁকে রাখা হয়েছে দিল্লির তিহার জেলে। আর জেলবন্দি থাকার কারণ খুব স্বাভাবিকভাবেই এবারের নির্বাচনে জেলায় দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারছেন না অনুব্রত। যদিও অনুব্রত না থাকলেও জেলায় তাঁর অনুগামীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা আজও একইরকম। অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা এখনও তাঁকেই অধিনায়ক মনে করে জেলায় রাজনৈতিক কার্যকলাপ করেন।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, দোলের দিন সিউড়িতে তৃণমূলের কার্যালয়ের সামনে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের ছবিতে তাঁর পায়ে আবির দিতেও দেখা গিয়েছে দলের নেতা কর্মী সমর্থকদের। সেক্ষেত্রে দলীয় কর্মীদের সাফ কথা, অুনুব্রত মণ্ডল জেলায় তাঁদের ক্যাপ্টেন ছিলেন আছেন এবং থাকবেন। সেই সময় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে থেকে এই অভিযোগও করা হয়, যে অনুব্রত মণ্ডলকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কখা, অনুব্রত গ্রেফতার হলেও বরাবরই তাঁর পাশে থেকেছে দলীয় নেতৃত্ব। দলের সর্বোচ্চ নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে তাঁর স্নেহের কেষ্টর নাম শোনা গিয়েছে। এমনকী সম্প্রতি দলের আরও এক শীর্ষ নেতা সুব্রত বক্সীও জেলায় গিয়ে মুক্তকণ্ঠে প্রশংসা করেছেন অনুব্রতর। সেই জায়গা থেকে ভোটের আগে এহেন দেওয়াল লিখন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।