কিরণ মান্না: নন্দীগ্রামে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জনসংযোগও করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বললেন নাম ঘোষণার আগে এসেছিলাম সকলের সাথে পরিচয় করতে। এখন নাম ঘোষনার পরে এসেছি। এখন দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আমি প্রতিটি গ্রামে পৌঁছানোর চেষ্টা করব।এদিনও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ওদিকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, চুরি দুর্নীতির বিরুদ্ধে চাকরি চোরদের বিরুদ্ধে, যে কোনও দলের ঊর্ধ্বে উঠে মেরুদন্ড সোজা করে যার প্রথম ভূমিকা ছিল, দু কোটি বেকারের কথা যিনি ভেবেছিলেন সেই অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে পাওয়া আমাদের সবচেয়ে বড় পাওনা। শুভেন্দু জানান, এমন একজন ব্যক্তিত্বকে আমি প্রথম প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তারপর অমিত শাহজির সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান কথা হয়। তারপর তিনি আসেন। অভিজিৎ গাঙ্গুলি যে শুধু আজকে এসেছেন, এমনটা নয়, তিনি সকলের হৃদয় আছেন। ওনাকে পাওয়া আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। এর আগে শুভেন্দুর সঙ্গে এসেই নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার একটি মন্দিরে পুজো দিয়ে যান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়।প্রসঙ্গত, তমলুক আসনে তৃণমূল প্রার্থী করেছে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। কদিন আগে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে 'সাপ' বলে কটাক্ষ করেন দেবাংশু। দেবাংশুর তমলুকের ভাড়া বাড়িতে হঠাৎ হাজির হয় একটি বিষধর সাপ। আর তাতেই তমলুকে বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে কটাক্ষ করেন দেবাংশু। কদিন আগেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, "আমি খুব বিষাক্ত। যে কোনও মুহূর্তে চন্দ্রবোড়া হয়ে যেতে পারি। আপনারা সাবধানে থাকুন।" তৃণমূলে থাকার বিষয়ে এমনই হুঁশিয়ারি দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য দেবাংশু তাঁর নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে পোস্ট করেন। তা ভাইরালও হয়ে যায়।এরপরই তমলুক শহরে দেবাংশু যে বাড়িটি ভাড়া নিয়েছেন, সেই বাড়িতে হাজির একটি বিষধর সাপ। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই যেহেতু সাপের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করেছিলেন, তাই দেবাংশু ব্যঙ্গ করে সাপটিকে দেখিয়ে বলেন, "অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর বাড়িতে এসে গিয়েছেন। সকলে সাবধানে থাকুন। তিনিও সাবধানে আছেন। সাপখোপ বাড়িতে তুলবেন কিনা তমলুকবাসী ভাবুন!" এমনকি এই নিয়ে দেবাংশু ভোটের মুখে সচেতনতা প্রচার চালাবেন বলেও জানান। যদিও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দেবাংশুর কটাক্ষের জবাব দেননি। তিনি 'কে দেবাংশু, ধূরর' বলে এড়িয়ে যান।