মমতাকে কুকথা! দিলীপকে তুলোধোনা করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল
প্রতিদিন | ২৬ মার্চ ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ভোটের ময়দানে ফের নিজের বেলাগাম মন্তব্যকে অস্ত্র করেছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর পিতৃপরিচয় নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন। তাঁর সেই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতায় বিজেপি প্রার্থীকে তুলোধোনা করে নির্বাচন কমিশনের (ECI) দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, বুধবার বেলা ১১টায় তৃণমূলের দশ সদস্যের প্রতিনিধি দল যাবে কমিশনে। দিলীপ ঘোষকে একযোগে আক্রমণ করেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষ, কীর্তি আজাদরা।
চব্বিশের ভোটে (2024 Lok Sabha Election) মেদিনীপুর নয়, বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। মঙ্গলবার সেখানে ভোটপ্রচারে বেরিয়ে রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর নামে অশালীন ভাষা প্রয়োগ করেন তিনি। বলেন, ?উনি গোয়ায় গিয়ে বলেন, ?আমি গোয়ার মেয়ে?। ত্রিপুরায় গিয়ে বলেন, আমি ?ত্রিপুরার মেয়ে?। আরে বাপ তো আগে ঠিক করুন। যার তার মেয়ে হওয়া ঠিক নয়।? তাঁর এই মন্তব্যে স্বভাবতই তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ জমতে বেশি সময় নেয়নি।
এনিয়ে রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, ?ওঁর নিজের দল ওঁকে মেদিনীপুর থেকে ঘাড়ধাক্কা, গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। তাই মানসিক হতাশায় উনি এখন মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে নেমেছেন। আরে আপনার দলই তো আপনাকে অপমান করে। আপনি তাই মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করছেন। আপনাদের জন্য লজ্জা হয়।? রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার বক্তব্য, ?এটা বিজেপির ডিএনএ। তাঁরা বরাবর মহিলা বিরোধী মন্তব্য করেন। এতেই স্পষ্ট তাঁদের মানসিকতা। বাংলার মানুষ আপনাদের জবাব দেবে।?
বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল (TMC) প্রার্থী, প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যের বিরোধিতায় তিনি বলছেন, ?দিলীপ ঘোষ ও বিজেপির মানসিকতা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। যে তাঁরা কীভাবে নারী শক্তির অপমান করে। দিলীপ ঘোষ তো মা দুর্গাকেও অপমান করেছিলেন। বলেছিলেন দুর্গার বাবা মা কে তা জানি না। দিদিকে নিয়েই একই কথা বলেছে। এইসব বিজেপির জমিদারি মানসিকতা। নারী জাতিকে সম্মান করে না বিজেপি। যারা মাতৃ শক্তি, দুর্গা, শ্যামা, মহিলা এমনকি দিদিকে অপমান করে তাঁদের কী করে সহ্য করে মানুষ? এদের ও এদের এই ধরণের মানসিকতাকে বহিষ্কার করা উচিত। মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে এরা। হাসপাতালে পাঠানো উচিত। এদের সমাজে বাস করার অধিকার নেই। ধিক্কার জানাই এদের।?