হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি লোকসভা আসন থেকে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এই প্রথমবার নির্বাচনে লড়ছেন কঙ্গনা রানাউত। গত বছর কুলুতে নাড্ডার সঙ্গে কঙ্গনার সাক্ষাতের পর তাঁর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে জোর গুঞ্জন ওঠে। পরে কঙ্গনার বাবা অমরদীপ রানাউতের বক্তব্য কঙ্গনা বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে লড়বেন। তবে কোথা থেকে নির্বাচনে লড়বেন সেই বিষয় তখনই কিছু বলতে পারেননি তিনি। বরং বিষয়টি সম্পূর্ণ ছেড়ে দিয়েছিলেন দলের উপর। আগামী লোকসভা নির্বাচনে মাণ্ডি থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। কেন মাণ্ডি থেকেই কঙ্গনাকে টিকিট দিল গেরুয়া শিবির? কেন অন্য আসন নয়? সে প্রশ্ন ইতিমধ্য়েই ঘোরাফেরা করছে ইতউতি। তবে মাণ্ডি আসন থেকে রাজনীতিতে নবাগতা বলি অভিনেত্রী কঙ্গনা উপর ভরসা করে কি জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত বিজেপি? কেন এই কেন্দ্র থেকে বর্ষীয়ান কোনও নেতা বা নেত্রীকে টিকিট না দিয়েই কঙ্গনাকেই টিকিট দিল দল? কোন সমীকরণে অঙ্ক কষে কঙ্গনাকে টিকিট দিল দল?রাজপুত ভোট ব্যাঙ্ক অক্ষুন্ন রাখতে মরিয়া
মাণ্ডি লোকসভা আসনে রাজপুত ভোটার সবচেয়ে বেশি । এই আসনে রাজপুত ও ব্রাহ্মণ নেতাদের আধিপত্য রয়েছে। প্রথম লোকসভা নির্বাচনে এসসি প্রার্থী হিসাবে গোপী রামের জয় ব্যতীত, এখন পর্যন্ত প্রত্যেক সাংসদই একজন রাজপুত বা ব্রাহ্মণ ছিলেন। এই কেন্দ্র রাজপুত সম্প্রদায় থেকে আসা দুই প্রার্থীর মুখোমুখি লড়াইয়েরও সাক্ষী থেকেছে। কঙ্গনা রানাউতও রাজপুত সম্প্রদায়ের। জাতিগত সমতা অর্জনে কঙ্গনাকে প্রার্থী করেছে বিজেপি।
বিধানসভা ভোটে ভালো ফলাফল
মাণ্ডি জেলায় ১০টি বিধানসভা আসন রয়েছে৷ ২০২২ সালে বিধানসভা ভোটে হিমাচল প্রদেশে মাণ্ডিতে ভালো পারফরম্যান্স ছিল বিজেপির। মাণ্ডির ১০টি আসনের মধ্যে ৯টিই দখল করেছে বিজেপি। হিমাচল প্রদেশের ৬৮টি আসনের মধ্যে ২৫টি আসন বিজেপি পকেটে পুরেছিল। যার মধ্য়ে মাণ্ডি থেকেই ৯টি আসন ঝুলিতে ভরে বিজেপি। অনেক ক্ষেত্রেই বিধানসভা নির্বাচনের জয়কে লোকসভা নির্বাচনে জয়ের মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে মনে করা হয় কোনও রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের জয় সেই রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের পথকে প্রশস্ত করে। বাড়তি ফুটেজ জোগায়। সংশ্লিষ্ট মহলের মত, বিজেপি বেছে বেছে 'সেফ' আসনেই প্রার্থী করেছে কঙ্গনাকে। দলের আশা, এই আসনে সহজেই জয়ধ্বজা ওড়াবেন বলিউডের কুইন।
প্রতিভা সিং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকার
অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশে এই মুর্হুতে কংগ্রেস অনেকটাই ব্যাকফুটে। এনিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে রয়েছে কংগ্রেসে। সেই অবস্থায় দলের সেই অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে কয়েক দিন আগেই লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকার করেন হিমাচলের প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী তথা দলের সাংসদ প্রতিভা সিং। এনিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রতীভা যদি না লড়েন তাহলে কঙ্গনা জয়ের পথ মোটামুটি পরিষ্কার। তবে শেষ মুহূর্তে প্রতীভার সিদ্ধান্ত বদল হলে ও তিনি ময়দানে নামলে খানিক বেকায়দায় পড়তে পারেন কঙ্গনা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।