প্রার্থী তালিকায় এবার ঠাঁই হয়নি বিজেপির 'গান্ধী' সদস্য বরুণ গান্ধীর। পিলভিট কেন্দ্র থেকে তাঁকে দল এবার টিকিট দেয়নি। এবার তাহলে কী করবেন বরুণ? দল বদল করবেন? অন্য দলের প্রতীকে লড়বেন? নাকি নির্দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন? হাজারও প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে। এই পরিস্থিতিতে তিনি সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র সমর্থনে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে জল্পনা দানা বেঁধেছে উত্তরপ্রদেশ রাজনীতিতে। বরুণের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত খবরের দাবি, তিনি চান নির্দল হিসেবে অমেঠি থেকে লড়তে। তবে এসব এখনও জল্পনা। কোনও গুঞ্জনেই সিলমোহর দেননি বরুণ স্বয়ং। এই আবহে বরুণকে কাছে টানার বার্তা বাংলার বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর গলায়।বরুণ যদি কংগ্রেসে যোগ দিতে চান তাহলে তাঁকে অবশ্য়ই স্বাগত জানাবে হাত শিবির। স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ।
মঙ্গলবার অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, 'বরুণ গান্ধী গ্য়ান্ড ওল্ড পার্টিতে যোগ দিতে চাইলে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে।' উল্লেখ্য, রবিবার পঞ্চম দফায় ১১১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। সুলতানপুরে বরুণের মা মেনকা গান্ধী আবার টিকিট পেলেও পিলিভিটে বরুণের বদলের 'পদ্ম' প্রতীক পেয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতিন প্রসাদ।
প্রার্থী তালিকা থেকে মেনকা পুত্রের বাদ পড়া ইস্যুতে অধীর বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছেন। বাদ পড়ার কারণ হিসেবে বরুণের গান্ধী পরিবারের সঙ্গে শিকড় জড়িয়ে থাকার তত্ত্ব খাড়া করেছেন অধীর। বিজেপি উদ্দেশ্য করে অধীরের মতে, যেহেতু বরুণের শিকড় জড়িয়ে রয়েছে গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাই ইচ্ছা করেই তাঁকে এবার ব্রাত্য করে রাখল গেরুয়া শিবির।
অধীর অবশ্য মনে করছেন, এমতাবস্থায় বরুণের পক্ষে সমীচিন হবে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া। এই প্রসঙ্গে অধীর বলেন,'ওঁর (বরুণ গান্ধী) কংগ্রেসে যোগ দেওয়া উচিত। উনি যোগ দিলে আমরা সকলেই খুশিই হব। উনি বর্ষীয়ান, অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, শিক্ষিত রাজনীতিক। ওঁর ভাবমূর্তিও স্বচ্ছ। গান্ধী পরিবারের সঙ্গে শিকড় জড়িয়ে রয়েছে ওঁর। আর সেই কারণেই ওঁকে টিকিটি দেয়নি বিজেপি। আমরা চাই বরুণ গান্ধী কংগ্রেসে যোগদান করুন।' বিজেপির সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও কৃষক আন্দোলন ইস্যুতে দলের বিরুদ্ধে একাধিকবার মুখ খুলেছিলেন বরুণ। সেসব কারণেই বরুণের উপর খুব একটা সন্তুষ্ট ছিল না গেরুয়া শিবির। ফলস্বরূপ পিলভিট কেন্দ্র থেকে তাঁকে ফাইনালি ছেঁটেই ফেলেছে বিজেপির। এই আবহে অধীরের ডাকে বরুণ সাড়া দেন কিনা তা সময়ই বলবে।