মঙ্গলবার ভর দুপুরের প্রখর রোদে নাজেহাল আমজনতা। আর তারই মাঝে শুরু ফোঁটা ফোঁটা 'বৃষ্টি'। কিন্তু পোশাকে সেই বৃষ্টির ফোঁটা পড়তেই মদের বের হতে থাকে মদের কটূ গন্ধ। আর তাতেই চক্ষু ছানাবড়া সকলের। গাছের মগডালে সারি দিয়ে ঝুলছে চোলাই মদের প্যাকেট। তারই মধ্যে একটি প্যাকেট কোন কারণে ফুটো হয়ে গিয়ে বৃষ্টির আকারে নীচে পড়ছে। আর তারপরেই গাছে উঠে বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ উদ্ধার করেন আবগারি দফতরের কর্মীরা।আবগারি দফতর সূত্রে খবর, এদিন গাছ থেকে ১৮০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১ লাখ টাকা। আবগারি দফতর সূত্রে খবর মঙ্গলবার বাগনানের আবগারি ওসি মইদুল ইসলামের নেতৃত্বে দফতরের কর্মীরা বাহনানের খাদিনানে অভিযান চালান। অভিযানে সেভাবে চোলাই উদ্ধার না হওয়ার পর আবগারি দফতরের কর্মীরা রোদের হাত থেকে বাঁচতে একটি গাছের নীচে দাঁড়িয়ে থাকার সময় আচমকা ফোঁটা ফোঁটা জল পড়তে থাকে। প্রথমে বৃষ্টির ফোঁটা মনে হলেও পরে তা থেকে চোলাই মদের গন্ধ বের হতেই প্রকাশ পায় আসল রহস্য। দেখা যায়, গাছের মগডালে লাইন দিয়ে ঝুলছে চোলাই মদের প্যাকেট। এরপরেই গাছ থেকে উদ্ধার হয় চোলাই মদ। আবগারি দফতরে কর্তাদের বক্তব্য তাদের হাত থেকে বাঁচতে অভিনব উপায়ে গাছের উপর চোলাই মদ মজুদ করে রাখা হয়েছিল।
দিন কয়েক আগে, জলপাইগুড়ির চা বাগান থেকে ১৫৫ লিটার চোলাই মদ বাজেয়াপ্ত করেন আবগারি দফতরের কর্তারা। একইসঙ্গে একটি বাইকও বাজেয়াপ্ত হয়। মেটেলি ব্লকের বড়োদিঘি চা বাগানে ঘটেছে ঘটনাটি। জানা যায়, বাইকে করে টিউবের মধ্যে লুকিয়ে বিষাক্ত চোলাই মদ মালবাজার থেকে বড়দিঘি চা বাগানে বিক্রির উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গোপন সূত্রে সেই খবর পৌঁছে যায় আবগারি দফতরের কর্মীদের কাছে।
আবগারি দফতরের কর্মীরা ওই বাইকের পিছু ধাওয়া করলে বাইক চালক, বাইক ফেলে পালিয়ে যান। এরপর তল্লাশি চালিয়ে বাইকে টিউবের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ১২০ লিটার বিষাক্ত চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। পরে বড়দিঘি চা বাগানের শ্রমিক লাইন থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় আরও ৩৫ লিটার চোলাই মদ। এই ধরনের অভিযান আগামীদিনের চলবে বলে জানিয়েছেন আবগারি দফতরের কর্তারা। আর সেই ঘটনার কয়েকদিন পরেই এবার উলুবেড়িয়ে থেকে মিলল এক পরিমাণ চোলাই।