• ব্রিটিশদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রতারণা মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের? বিতর্কে মুখ খুললেন রাজবধূ অমৃতা রায়
    এই সময় | ২৬ মার্চ ২০২৪
  • লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির বধূ অমৃতা রায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এরপরেই কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির ইতিহাস প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক মন্তব্যে নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির রাজবধূ অমৃতা রায়। ইতিমধ্যেই কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে ক্রমাগত আক্রমণ। নেটিজেনদের একাংশের দাবি, মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র নাকি মীরজাফরের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ব্রিটিশদের সঙ্গে যোগ দেন। এই নিয়ে যখন বিতর্কের বন্যা বইছে সেই সময় একান্ত সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের সদস্য তথা কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়।

    অমৃতা দেবী বলেন, ’মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র কেন ব্রিটিশদের পাশে ছিলেন এবং সিরাজদৌল্লার বিপক্ষে গিয়েছিলেন তা সকলেই জানেন। সেদিন যদি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সেই সিদ্ধান্ত না নিতেন তাহলে আমরা কেউ আজ হিন্দু থাকতাম না। অন্য জাতের পরিচয়ে বেঁচে থাকতে হত।'

    তাঁর সংযোজন, 'শুধু তাই নয়, ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষে যখন স্বাধীনতা লাভ করে সেদিন নদিয়ার একাংশ পূর্ব পাকিস্তানের আওতায় পড়ায় স্বাধীনতা লাভ করতে পারেনি। মহারানি জ্যোতির্ময়ী দেবীর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় স্বাধীনতার কয়েকদিন পর ১৮ অগাস্ট নদিয়া জেলাকে ভারত ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। অর্থাৎ ১৮ অগাস্ট নদিয়া জেলা স্বাধীন হয় এবং তা হয় রানি জ্যোতির্ময় দেবীর জন্যই। স্বাধীন ভারতবর্ষে রাজ পরিবারের ভূমিকা কী, তা সকলেরই জানা। শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করবার জন্যই তৃণমূল কংগ্রেস এইরকম অপবাদ দিচ্ছে রাজবাড়ির নামে।'

    এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট লেখক স্বদেশ রায় জানিয়েছিলেন, কৃষ্ণচন্দ্রের সঙ্গে ব্রিটিশদের সখ্যতা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। সেখানে সভা করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সূত্রের খবর এমনটাই। বিজেপির প্রার্থী নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলেছিল।

    সূত্রের খবর, এক প্রাক্তন ক্রিকেটারের নামও উঠে এসেছিল। শেষমেশ কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির রানিমা অমৃতা রায়ের নাম বেছে নেওয়া হয়। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার কয়েকদিন আগে তিনি বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন।

    ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে গতবারও অন্যতম ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছিল সংখ্যালঘু ভোট। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে প্রচারের ঝড় তুলবেন মহুয়া মৈত্র, মতামত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। সেক্ষেত্রে ভোটযুদ্ধ যে বেশ জমজমাট হতে চলেছে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। এখন দেখার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে শেষ হাসি কে হাসেন!
  • Link to this news (এই সময়)