• Blatimore Bridge Accident : বিশেষ পারদর্শীতা সত্ত্বেও ব্রিজে ধাক্কা জাহাজের, বালটিমোর কাণ্ডের নেপথ্য কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
    এই সময় | ২৭ মার্চ ২০২৪
  • বালটিমোর ব্রিজের স্তম্ভে সজোরে ধাক্কা মারে একটি পণ্যবাহী জাহাজ। যার জেরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পাঁচ শতাব্দী পুরনো এই ব্রিজটি। আশ্চর্যজনকভাবে যে জাহাজটি আমেরিকার এই বিশ্ববিখ্যাত ব্রিজে ধাক্কা মারল, তা যে কোনওরকম সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল। এমনকী, কার্গো শিপের পাইলটরাও জটিল পথে যাতায়াতের জন্য পারদর্শী। তা সত্ত্বেও এই দুর্ঘটনায় হতচকিত গোটা বিশ্ব।জানা যাচ্ছে, কার্গো জাহাজটি ৯৪৮ ফুট লম্বা। সিঙ্গাপুরের সিনার্জি গ্রুপের ডালি অপারেটেড পণ্যবাহী জাহাজ এটি। ১.২ মাইল লম্বা বালটিমোরের ব্রিজে আচমকাই ধাক্কা মারে সেটি। ভয়াবহ সংঘর্ষের জেরে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভেঙে পড়ে সেতুটি। স্থানীয় সময় রাত দেড়টা নাগাদ ঘটে এই দুর্ঘটনা।

    মেরিল্যান্ডের পরিবহণ সচিব পল উইডফেল্ট বলেন, 'পণ্যবাহী জাহাজে ২২ জন ক্রু ছিলেন। তাঁদের কারও কোনও চোট আঘাত লাগেনি। বিশেষ পাদর্শী পাইলটরা জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। প্যাটাস্পকো নদীতে বালটিমোর ব্রিজের নীচ দিয়ে কী ভাবে জাহাজ নিয়ন্ত্রণ করতে হয় তা সম্পর্কে অত্যন্ত ভালোভাবে ওয়াকিবহল পাইলটরা।' জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ডালি অপারেটেড জাহাজের পাইলটরাই বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে গোটা বিষয়টি জানান। জানা গিয়েছে, ২২ জন ক্রুয়ের মধ্যে ছিল ভারতীয় সদস্যও। প্রত্যেকেই নিরাপদ রয়েছে বলে খবর।

    আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ব্রিজে ধাক্কা মারার কয়েক মুহূর্ত আগে জাহাজটিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। অনুমান করা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটির জেরেই নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। জাহাজের প্রত্যেক ক্রুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইউ এস কোস্ট গার্ড। জানা গিয়েছে, গভীর রাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেতু থেকে ছিটকে পড়ে প্যাটাপস্কো নদীর জলে ভেসে গিয়েছে ৭-৮টি গাড়ি। দুর্ঘটনার পরেই জোরকদমে চলেছে উদ্ধারকাজ। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় অন্তত ২০ জন যাত্রী জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে।

    বালটিমোরের ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজের নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৯৭২ সালে। এরপর ১৯৭৭ সালের ২৩ মার্চ এই সেতু জনসাধারণের জন্য খোলা হয়। বালটিমোর বন্দর যাওয়ার সুড়ঙ্গে যান চলাচলের চাপ কমানোর জন্যই এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। সেতুটি নির্মাণে খরচ পড়েছিল ৬০ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। আমেরিকার মতো একটি অত্যাধুনিক পরিকাঠামো যুক্ত দেশে কী ভাবে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
  • Link to this news (এই সময়)