Election Commission Rules: দেশে চলছে আদর্শ আচরণবিধি! বেড়াতে গেলে সঙ্গে নগদ কত টাকা রাখতে পারবেন? জানুন নিয়ম
এই সময় | ২৭ মার্চ ২০২৪
সামনেই ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং রয়েছে? ভাবছেন পথে-ঘাটে বেশি পরিমাণে নগদ রাখলে সুবিধা হবে? তাহলে কিন্তু অবশ্যই এই তথ্যগুলো আপনার জানা প্রয়োজন। সম্প্রতি ঘুরতে গিয়ে হাতে বেশি পরিমাণ অর্থ রেখে বিপাকে পড়েন এক পর্যটক। না কোনও চুরি-বাটপারি নয় তাঁর কাছ থেকে টাকা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। বিষয়টি ঠিক কী তা আগে খোলসা করা যাক।তামিলনাড়ুর পর্যটকের থেকে নগদ বাজেয়াপ্ত
সম্প্রতি তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলার পঞ্জাব থেকে এক পর্যটকের থেকে নগদ ৬৯,৪০০ টাকা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সূত্রের খবর, সেখানে পরিবারের সদস্যরা মিলে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন ওই পর্যটক। সেই কারণেই সঙ্গে রেখেছিলেন মোটা টাকা। এত টাকা সঙ্গে রেখেই সুবিধা হওয়া তো দূর বরং বিপাকে পড়লেন পর্যটক। নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হয়ে যাওয়ায় সেই নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। যদিও সেই টাকার নথি খতিয়ে দেখার পর তা ফেরত দিয়ে দেওয়া হয় পর্যটককে। এমন ঘটনায় পর্যটকের পাশে দাঁড়িয়ে অনেকই প্রশ্ন তুলেছেন, নির্বাচনী আচরণবিধির নামে হয়রানি করা হচ্ছে লোকজনকে। কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে অবশ্যই জেনে নিন কত টাকা নগদ আপনি সঙ্গে রাখতে পারেন।
আদর্শ আচরণবিধি অনুযায়ী কত টাকা অর্থ নগদ সঙ্গে রাখতে পারবেন?
১৬ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে কার্যকর হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। নির্বাচনী আচরণবিধিতে একাধিক বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে। নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি নগদ আপনার কাছে থাকলে জেলও হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আচরণবিধি চলাকালীন যে কোনও ব্যক্তি ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নগদ অর্থ রাখতে পারেন নিজের কাছে। যদি ৫০ হাজার টাকার বেশি নগদ থাকে তাহলে সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, নির্বাচনের সময় যদি বিয়ের মরশুম চলে, তবে ৫০ হাজার টাকার বেশি নগদ রাখা যায়। তবে সেক্ষেত্রেও বিশেষ কিছু শর্ত রয়েছে।
কোন কোন বিশেষ শর্তে নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার পর ৫০ হাজার টাকার বেশি নগদ রাখতে অনুমতি দেওয়া হয় ?
যদি নির্বাচনের সময় বিয়ের মরশুম চলে ও কোনও ব্যক্তির কাছে নগদ ৫০ হাজার টাকার বেশি অর্থ থাকে, তবে তাঁর সঙ্গে কিছু প্রয়োজনীয় নথি আবশ্যিক। এর জন্য কিছু প্রয়োজনীয় শর্ত রয়েছে। কমপক্ষে তিনটি নথি থাকতে হবে। এর মধ্যে একটি হল অবশ্যই পরিচয়পত্র থাকতে হবে। একই সঙ্গে অর্থের লেনদেন সংক্রান্ত সার্টিফিকেট থাকাও আবশ্যক। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার স্লিপ বা মেসেজের মতো টাকা তোলার প্রমাণ থাকতে হবে, যাতে সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা তল্লাশির সময় জানতে পারেন নগদের উৎস কী। এই টাকা কোথায় ব্যবহার করা হবে তার প্রমাণও থাকতে হবে।
একবার টাকা বাজেয়াপ্ত হলে তা কি ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?
নির্বাচনে যাতে অবৈধ টাকা ব্যবহার না হয়, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশন সকল রাজ্যকে নজরদারি চালাতে নির্দেশ দিয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ায় নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ। নাকাতল্লাশি চালানোর সময় এক পর্যটকের কাছে থেকে নগদ ৬৯,৪০০ টাকা উদ্ধার হয়। এই টাকার উৎস কী, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, ইত্যাদি প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ওই পর্যটক পরিবারকে। পরে অবশ্য টাকা ফেরত পান পর্যটক।