• বহরমপুরের লালদীঘিতে ৩৬ কুইন্টাল মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ
    আজকাল | ২৭ মার্চ ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাতের অন্ধকারে বিষ প্রয়োগ করে বহরমপুরের লালদীঘিতে ৩৬ কুইন্টাল মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে।বহরমপুর পুরসভা এবং জেলা প্রশাসনিক ভবনের মাঝে অবস্থিত এই লালদীঘি। বেশ কয়েক বছর ধরেই বহু মাছ ব্যবসায়ী এই দীঘিকে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। কিন্তু সোমবার থেকে হঠাৎই লক্ষ্য করা যায় দীঘিতে প্রচুর পরিমাণে ভেসে উঠেছে মরা মাছ। ব্যবসায়ীদের অনুমান, গত দুদিন মিলিয়ে কমপক্ষে ৩৬ কুইন্টাল মাছের মৃত্যু হয়েছে। বিষাক্ত হয়ে পড়েছে জল। মরা মাছ জলে পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। বিজন কর্মকার নামে এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, "আমরা পুরসভার কাছ থেকে লিজ নিয়ে এই দীঘিতে মাছ চাষ করি। রবিবার বিকেলে আমরা লক্ষ্য করি কেউ বা কারা দীঘির এক কোণে রাসায়নিক ফেলে গিয়েছে। এর প্রভাবে সোমবার থেকে দীঘিতে অস্বাভাবিক হারে মাছের মৃত্যু হতে থাকে। সোমবার আমরা ছয় কুইন্টাল মরা মাছ তুলেছি। মঙ্গলবার প্রায় ৩০ কুইন্টাল মরা মাছ দীঘির জল থেকে থেকে তোলা হয়েছে। রাসায়নিক ব্যবহার করে মাছ মেরে ফেলায় আমাদের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।" বহরমপুর পুরসভা এবং জেলা প্রশাসনকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, "এই দীঘি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। ওই এলাকার আশেপাশে প্রচুর মানুষের বাস। মাছ মারা গিয়ে জলে পচে প্রচন্ড দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে কিন্তু এখানকার প্রশাসন সাধারণ মানুষকে কোনও জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছে না।" এই গোটা ঘটনার দায়ভার কংগ্রেসের দিকেই চাপিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জি। তিনি বলেন," লোকসভা নির্বাচনের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসকে দুর্নাম করার জন্য কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লালদীঘির জলে বিষ মিশিয়েছে। ওই দিঘির মালিক বহরমপুর পুরসভা। কেউ কখনও নিজের সম্পত্তির ক্ষতি করে না।"
  • Link to this news (আজকাল)