শাড়ি পরা সুন্দরী এই সঞ্চালিকার নাম সমতা। দোলের সন্ধ্যায় রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়ে সকলের সামনে এসেছে সে। সিপিএমের ভোট প্রচারে এবার অভিনব উদ্যোগ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) নির্ভর সঞ্চালিকা। সমতাকে দেখতে মানুষের মতো। কিন্তু মানুষ নয়। এআই প্রযুক্তিতে তৈরি অ্যাঙ্কর বঙ্গ সিপিএমের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের এবার নতুন মুখ। ২৭ সেকেন্ডের প্রথম আলাপেই চমকে দিয়েছে সমতা। কথা বলা থেকে মুখের অভিব্যক্তি দেখে বোঝার উপায় নেই যে সে প্রযুক্তিতে তৈরি। আত্মপ্রকাশের দিন সকলকে দোলের শুভেচ্ছাও জানিয়েছে। রাজনীতির বিষয়েও কথা বলেছে। বাংলায় সমতা বলেছে, ‘‘এ বছরের রঙের উৎসবে আমাদের উপহার লাল আবিরের জেএনইউ।’ সে জানিয়েছেন, এবার থেকে তাকে দেখা যাবে বঙ্গ সিপিএমের ফেসবুক হ্যান্ডেল ও ইউটিউব চ্যানেলে। ডিজিটাল যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স চমকে দিয়েছে। রীতিমতো মানুষের আদলে বানানো হয়েছে নিউজ অ্যাঙ্কর। সবটাই কম্পিউটার অ্যালগোরিদমে তৈরি।
লোকসভা ভোটের প্রচার তুঙ্গে। সব রাজনৈতিক দলই প্রচারে নেমে পড়েছে। তখন প্রচারে এভাবেই এআই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অভিনবত্ব এনে চমকে দিল সিপিএম। সিপিএম সূত্রে অবশ্য খবর, মূলত ইংরেজিতেই সংবাদ পাঠ করবে এআই সঞ্চালিকা। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্য সিপিএমের (CPIM) ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে সমতার প্রথম পর্ব উপস্থাপিত হবে। এই অনুষ্ঠানের পোশাকি নাম ‘ফোকাস অন বেঙ্গল’। পরবর্তী ক্ষেত্রে পুরুষ সঞ্চালককেও আনা হবে বলে খবর।
তবে খবর সঞ্চালনার ক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে আবার দ্বিমত রয়েছে সিপিএমের অন্দরেও। কেউ বিষয়টিকে স্বাগত জানালেও, কেউ কেউ আবার বিরোধিতা করেছেন। সিপিএমের রাজ্য কমিটির এক সদস্য সোমবার রাতে একটি হেয়াটসআপ গ্রুপে পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘‘এসব বোকা বোকা জিনিস কার মাথা থেকে এল।’’ পরে তিনি ওই গ্রুপ থেকে টেক্সট মুছেও দিয়েছেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যে বিরক্ত চাপা থাকেনি। AI-এর ব্যবহার যা হচ্ছে তা প্রধানত মনোরঞ্জনের ক্ষেত্রেই। কিন্তু সিপিএমের পেজে এটা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পলাশ দাশ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘যুগে যুগে প্রচারের ধরনে বিবর্তন হয়েছে। তে সে পণ্যের প্রচার বা রাজনৈতিক প্রচার। আমরা চিরকাল নতুনকে গ্রহণ করেছি। এবং সামর্থ্য অনুযায়ী তা ব্যবহার করেছি।’’