• মহুয়ার মুখোমুখি 'রানিমা'! প্রভাব ও প্রতিপত্তি কতটা কৃষ্ণনগরের রাজবধূর...
    ২৪ ঘন্টা | ২৭ মার্চ ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী রাজবধূ অমৃতা রায়। সাংসদ পদ হারানো মহুয়া মৈত্রকে জেতাতে তৃণমূল যে ঝাঁপাচ্ছে তা বেশ টের পাচ্ছে বিজেপি। তবে তারাও 'রানিমা' অমৃতা সিংকে প্রার্থী করে কম ভালা জায়গায় নেই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রানিমার ইমজেই এখন হাতিয়ার বিজেপির। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরপরই তিনি সংবাদমাধ্যমে বেশকিছু বোমা ফাটিয়েছেন।

    প্রার্থী হিসেব অমৃতা রায়ের নাম ঘোষণার পরপরই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, পরাধীন ভারতে ইংরেজদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল কৃষ্ণনগরের রাজপরিবার। সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে ইংরেজদের সঙ্গে লড়াইয়ের সময়ে ইংরেজদের সাহায্য করেছিল কৃষ্ণনগরের রাজপরিবার। বিজেপির ওই প্রার্থীর গ্রহণযোগ্য়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মৌচাকে ঢিল মেরে দিয়েছিলেন কুণাল।কুণাল ঘোষের ওই মন্তব্যের পাল্টা জোরাল জবাব দিয়েছেন 'রানিমা' অমৃতা রায়। তিনি বলেন, কৃষ্ণনগরের রাজপরিবারের ইতিহাস বিকৃতভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। বিভিন্ন উদাহরণ তুলে তিনি বলেন সেই সময়ে ঘটনা প্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল রাজপরিবারকে। রাজনীতি করার জন্য তা এখন বিকৃত করা হচ্ছে। অমৃত রায়ের পরিবারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মোঘল বিরোধিতার ইতিহাসও। কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অমৃতা রায়ের ইতিহাস।কলকাতার লা মার্টিনিয়ার স্কুলে পড়াশোনা অমৃতা রায়ের। স্কুল শেষ করে পড়াশোনা করেন লোরটো কলেজে। পরে তিনি ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে মন দেন। কিন্তু সেটিকে নিজের পেশা করেনি। বরং নিজের পরিবার, ঐতিহ্য নিয়েই নিজেকে ব্যাস্ত ছিলেন। মনে করা হয় কৃষ্ণনগরের রাজপরিবারের হাত ধরেই বাংলায় জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হয়। কিছুদিন আগেই একটা জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে তিনি রাজনীতিতে আসছেন। এর মধ্যেই তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। তারপরেই তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়ে যান। জেলা রাজনৈতিক মহলের খবর, কৃষ্ণনগর সহ জেলায় তাঁর প্রভাব যথেষ্টই। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগে খুবই ভালো। মঙ্গলবার তাঁকে ফোন করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদী। ফলে তৃণমূলের পক্ষে লড়াইটা খুব এক মসৃণ হবে না বলেই মনে করেছে বিরোধীদের একাংশ।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)