মৃত্যুঞ্জয় দাস: প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। এরপরই নার্সিংহোমের সামনে মৃতদেহ রেখে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে এমন দাবি করে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রোগীর পরিজনেরা। অভিযুক্ত চিকিৎসক ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে চলল বিক্ষোভও। বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের নার্সিংহোম হিসাবে পরিচিত ওই হাসপাতালের সামনে অবরোধ বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা গেল বাঁকুড়ার পুরপ্রধানকেও।
এছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের অনেক পরিচিত নেতা-কর্মী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে গত ২১ মার্চ বাঁকুড়ার থানাগোড়া এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন মৌসুমী দে নামের বাঁকুড়া শহরের কামারপাড়া এলাকার এক প্রসূতি। ওই দিনই সিজারের পর তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। অভিযোগ সিজারের পর থেকেই ওই প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।মৃতার পরিবারের দাবি, শুক্রবার দুপুরে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রোগীর পরিজনদের জানায় প্রসূতির ডায়ালিসিস প্রয়োজন কিন্তু সেই পরিকাঠামো ওই নার্সিংহোমে নেই। এরপরই ওই প্রসূতিকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সোমবার মৃত্যু হয় ওই প্রসূতির। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে মৃতদেহ নার্সিংহোমের সামনে নিয়ে এসে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিজনেরা।মৃতের পরিজনদের দাবি, ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে ওই প্রসূতির। এদিনের বিক্ষোভ ও অবরোধে সামিল হয়ে ক্ষোভ দেখান বাঁকুড়ার পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার, উপপুরপ্রধান হীরালাল চট্টরাজ, বাউরী কালচারাল বোর্ডের চেয়ারম্যান দেবদাস দাস, প্রাক্তন বিধায়ক শম্পা দরিপা-সহ বহু তৃণমূল নেতা-নেত্রীকে। অভিযোগ নিয়ে নার্সিংহোমের তরফে কোনও বক্তব্য মেলেনি।