২১ দিন পর অনশন ভঙ্গ 'ব়্যাঞ্চো'-র, লাদাখের সর্বনাশ রুখতে আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ওয়াংচুকের
এই সময় | ২৭ মার্চ ২০২৪
অবশেষে অনশন ভাঙলেন রিল লাইফ ব়্যাঞ্চো। ২১ দিন পর বিজ্ঞানী তথা পরিবেশ এবং মানবাধিকার কর্মী সোনম ওয়াংচুক নিজের অনড় অবস্থান থেকে সরলেন। গত ৬ মার্চ থেকে অনশন করছিলেন তিনি। মঙ্গলবার এক শিশুর হাতে সরবত খেয়ে অনশন ভাঙলেন তিনি। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর ‘র্যাঞ্চো’ জানিয়েছেন, অনশন তুলে নিলেও তাঁর লড়াই চলবে। কী নিয়ে এমন কঠোর অবস্থান ছিল তাঁর?অনশন ভাঙলেন সোনম ওয়াংচুকলাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের স্বীকৃতি সহ একগুচ্ছ দাবিতে অনশনে বসেছিলেন সোনম ওয়াংচুক। জল এবং নুন ছাড়া বিগত ২১ দিনে কিছুই খাননি তিনি। অবশেষে অনশন ভঙ্গ করার পর তিনি বলেন, 'লাদাখের সাংবিধানিক সুরক্ষা এবং সেখানকার মানুষদের রাজনৈতিক অধিকারের জন্য আমার লড়াই চলবে।' ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। তবে সোনম ওয়াংচুকের অনশন প্রত্যাহার হলেও লাদাখের মানুষ তাদের জেদ থেকে পিছু হটছেন না। এবার স্থানীয় মহিলাদের একটি দল অনশন শুরু করবে বলে জানিয়েছেন। লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের স্বীকৃতির পাশাপাশি হিমায়লের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষাও ছিল সোনম ওয়াংচুকের অন্যতম প্রধান দাবি। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত ২১ দিনের জন্য হলেও পরবর্তীকালে প্রশাসনের তরফে তাঁর দাবি পূরণে কোনও সদিচ্ছা দেখা না গেলে অনশন আমরণও চলতে পারে। কিন্তু, এই তিন সপ্তাহে তাঁর সঙ্গে কথা বলার কোনও ইঙ্গিত সরকারের তরফে দেওয়া হয়নি বলেই খবর। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারই এক ভিডিয়ো বার্তায় আরও একবার কেন্দ্রের কাছে নিজের দাবিদাওয়ার কথা জানান বাস্তবের ব়্যাঞ্চো। তুষারাবৃত লাদাখে তাঁর এই আন্দোলনে আরও শয়ে শয়ে মানুষ সমর্থন জানাচ্ছেন বলে ভিডিয়ো বার্তায় তুলে ধরেন তিনি।
আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারিসোনম ওয়াংচুকের আরও দাবি, প্রাকৃতিক সম্পদকে রক্ষা করার যে আশ্বাস সরকার ২০১৯-২০ সালে দিয়েছিল, তা রাখা হয়নি। পাশাপাশি লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের স্বীকৃতিও দেওয়া হয়নি। সেখানকার পরিবেশরক্ষার ক্ষেত্রেও কোনও দৃঢ় পদক্ষেপ করেনি কেন্দ্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘সরকার বলে ভারত গণতন্ত্রের জননী। অথচ সেই ভারতেই লাদাখবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। নয়াদিল্লি থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে আমাদের লাদাখকে। চার বছর পরও সরকার কোনও প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। এটা লাদাখবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’
উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট, পূর্ববর্তী জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করেছিল কেন্দ্র। জম্মু ও কাশ্মীরে ভোট করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। লাদাখ অবশ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।