রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ প্রয়াত। মঙ্গলবার সন্ধে সোয়া ৮টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সমস্ত সদস্য তথা বাংলায়। তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের শ্রদ্ধেয় সভাপতি শ্রীমৎ স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজ আধ্যাত্মিকতা এবং জীবসেবায় তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। অগণিত হৃদয় এবং মননে তিনি ছাপ রেখে গিয়েছেন। তাঁর সহানুভূতি এবং প্রজ্ঞা বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। কয়েক বছর ধরে তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগ খুব নিবিড় হয়েছিল। ২০২০ সালে বেলুড় মঠ সফরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কয়েক সপ্তাহ আগে কলকাতায় হাসপাতালে গিয়ে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবরও নিয়েছিলাম। বেলুড় মঠের অসংখ্য ভক্তের প্রতি আমার সমবেদনা।’
মহারাজের মৃত্যুতে শোকবার্তা দিয়েছেন মমতাও। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের শ্রদ্ধেয় সভাপতি শ্রীমৎ স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজের আজ রাতে মৃত্যু সংবাদে আমি গভীরভাবে শোকাহত। জীবদ্দশায় রামকৃষ্ণদেব পরমহংসের আদর্শে দীক্ষিত অগণিত ভক্তের আধ্যাত্মিক গুরু হিসাবে তাঁদের পথ দেখিয়েছেন। আমি তাঁর সমস্ত সহ-সন্ন্যাসী, অনুগামী ও ভক্তদের গভীর সমবেদনা জানাই।’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন স্মরণানন্দজি মহারাজ। মাঝে বঙ্গ সফরে এসে তাঁকে দেখে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পর একদিন তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মঠ এবং মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ ছিলেন স্বামী স্মরণানন্দ। ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই স্বামী আত্মস্থানন্দের প্রয়াণের পর তিনি অধ্যক্ষ হন। গত ২৯ জানুয়ারি মুত্রনালিতে সংক্রমণের কারণে তাঁকে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানো হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫।