• ভালবাসায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ, ফুলে ভরে উঠল স্মৃতিসৌধের বেদি...
    আজকাল | ২৭ মার্চ ২০২৪
  • সমীর দে, ঢাকা: ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছে সমগ্র জাতি। দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। মঙ্গলবার সকালে ঢাকার অদূরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানান ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামচেক ওয়াংচুক। এরপর দেশি-বিদেশি কূটনীতিক ও রাজনৈতিক নেতাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের সাথে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সৌধ প্রাঙ্গণ।পর্যায়ক্রমে প্রশাসন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, রাজনৈতিক দল, প্রেসক্লাব ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বয়সী মানুষ স্মৃতিসৌধের বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকলের ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদি। লাল-সবুজের পতাকায় ছেয়ে যায় সৌধ প্রাঙ্গণ।রাজধানী থেকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা হুমায়ন কবির বলেন, "আমরা যুদ্ধ করতে পারিনি। কিন্তু যারা যুদ্ধ করেছেন, দিয়েছেন দেশের জন্য প্রাণ তাঁদের কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করা প্রয়োজন। তাই শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি।" গাজীপুরের একটি স্কুলের শিক্ষক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, "এই দিনটাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসলে অনেক ভালো লাগে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারলে আত্মা তুষ্টি পায়। আমার মতো অনেকেই গাজীপুর থেকে আজ স্মৃতিসৌধে এসেছেন শ্রদ্ধা জানাতে। রমজান মাস হওয়ায় সাহরি খেয়ে না ঘুমিয়েই সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হয়েছি।" রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানোর সময় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানান। পরে আওয়ামী লিগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধের বেদিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ভুটানের রাষ্ট্রপতি, রাজা ও প্রধানমন্ত্রীও দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার পর ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ মানুষের আত্মত্যাগ এবং দুই লাখ নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ অর্জন করে কাঙ্খিত স্বাধীনতা।
  • Link to this news (আজকাল)