খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা! বাথরুমে পড়ে রক্তাক্ত স্ত্রী, ডাইনিং থেকে উদ্ধার সংজ্ঞাহীন চিকিত্সকের দেহ
২৪ ঘন্টা | ২৭ মার্চ ২০২৪
নান্টু হাজরা: হাড়হিম করা ঘটনা। সল্টলেকের জিসি ব্লকের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক চিকিত্সকের স্ত্রীর মৃতদেহ। রক্তাক্ত অবস্থায় যদুনাথ মিত্র(৭৮) নামে ওই চিকিত্সকের সংজ্ঞাহীন দেহের কাছেই উদ্ধার হয়েছে তাঁর স্ত্রীর(৭৩) মৃতদেহ। পাশ পাওয়া গিয়েছে একটি রক্তমাখা ছুরি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে স্ত্রীকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন। এনিয়ে তদন্ত শুকু করেছে পুলিস।
সকালে পরিচারিকা যদুনাথবাবুর বাড়িতে এলে দেখেন গেট বন্ধ নেই। ভেজানো রয়েছে। ভেতরে ঢুকে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় দম্পতি পড়ে রয়েছেন। যদুনাথবাবুর সংজ্ঞাহীন দেহ থেকে একটু দূরে শৌচাগারে পড়ে রয়েছে তাঁর স্ত্রীর দেহ। পরিচারিকা তড়িঘড়ি প্রতীবশীদের খবর দেন। তারাই স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিসকে খবর দেন। খবর পেয়ে ছুটে আসে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস। দুজনকেই বিধাননগর হাসপাতালে নিয়ে যান।ঘটনার তদন্ত নেমে বাড়ির আসপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে আসে বিধাননগর পুলিস কমিশনারেটের পুলিস কমিশনার গৌরব শর্মা।জিসি ব্লকের ৩০ নম্বর বাড়িতে থাকতেন ডা যদুনাথ মিত্র ও তাঁর স্ত্রী মন্দিরা মিত্র। যদুনাথবাবু সেনার চক্ষু চিকিত্সক ছিলেন। অবসর নিয়ে থাকতেন সল্টলেকের ওই বাড়িতে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন স্বামী। যুদুনাথবাবুকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে অন্য কোনও কারণও থাকতে পারে। তবেওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রতিবেশী সূত্রের খবর তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। একাকীত্ব একটা কারণ বলে ধারণা প্রতিবেশীদের। যে সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে তাতে পরিষ্কার লেখা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে যে স্ত্রীকে হত্যা করে নিজে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছেন। কেউ দোষী নন বলেই জানানো হয়েছে সেখানে। বাড়ি বিক্রি নিয়ে একটা সমস্যা ছিল বলে জানা যাচ্ছে। কর্মসূত্রে দুই মেয়ে বাইরে থাকে। একজন বিদেশে এবং একজন কলকাতাতেই কিন্তু অন্য জায়গায় থাকে।