Election Commission : ফোর্স নিয়ে অভিযোগ? স্ট্রেট জানান কমিশনকে
এই সময় | ২৭ মার্চ ২০২৪
এই সময়: গত বিধানসভা ভোটে ব্যবহার করা হয়েছিল এক হাজার কোম্পানিরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। এবারও দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি বাহিনী বঙ্গে ভোটের ডিউটিতে থাকবে এমন তথ্য সামনে এসেছে। এরপরেই বিরোধীরা দাবি তুলেছে, রেকর্ড সংখ্যক বাহিনীকে যেন যথাযথ ভাবে ব্যবহার করা হয়। সেই দাবি মেনে নতুন ব্যবস্থা নিতে চলেছে কমিশন। কোথায়, কত বাহিনী কখন রুটমার্চ করছে, রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে আম ভোটারেরাও তা জানতে পারবেন। যদি সেই তথ্যের সঙ্গে বাস্তবের মিল না থাকে, তা হলে কমিশনের কাছে সেই বিষয়ে সরাসরি অভিযোগও জানানো যাবে।রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চ সংক্রান্ত অভিযোগ উঠতেই পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পুরো বিষয়ে স্বচ্ছতা আনতে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রুটমার্চ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তা পৌঁছে দেবে তারা। এজন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ২৯ মার্চ থেকে কমিশনকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ওয়েবসাইট ceowestbengal.nic.in-এ সেই তথ্য প্রকাশিত হবে। ওয়েবসাইটে 'রুটমার্চ' -এ ক্লিক করলেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ সম্পর্কে জানতে পারবেন যে কেউ।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন বুথে রুটমার্চ করানোর উদ্দেশ্য হলো ভোটারদের মনে ভরসা তৈরি করা। কিন্তু কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, বাহিনীর 'গাইড' হিসেবে থাকে স্থানীয় পুলিশ। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি বা দল মনে করেন যে, কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় রাজ্য পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে যাচ্ছে না, বা রুট মার্চ করাচ্ছে না, তা হলে জেলার নির্বাচনী আধিকারিককে সরাসরি অভিযোগ জানানো যাবে।
গত ১৬ মার্চ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে তার আগেই দু'দফায় মোট ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এ রাজ্যে এসে গিয়েছে। ১ মার্চ প্রথম দফায় ১০০ কোম্পানি এবং ৭ মার্চ দ্বিতীয় দফায় এসেছে আরও ৫০ কোম্পানি। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এপ্রিলের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গে আরও ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে। এই ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যের কোথায় কোথায় মোতায়েন করা হবে, সে ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছে কমিশন।