সল্টলেকে বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার। কাছেই বৃদ্ধার স্বামীকেও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সল্টলেকে জিসি ব্লকে। বৃদ্ধার নাম মন্দিরা মিত্র। তাঁর স্বামী পেশায় চিকিৎস যদুনাথ মিত্র। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।এই বিষয়ে এক প্রতিবেশী জানান, প্রতিদিনই সকালে যদুনাথ মিত্রর বাড়িতে আসেন পরিচারিকা। সেই মতো এদিনও ওই পরিচারিকা আসেন। তিনি ভিতরে গিয়েই দেখতে পান যে রক্তাক্ত অস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই দম্পতি। সঙ্গে ওই পরিচারিকা ছুটে এসে তাঁকে বিষয়টি জানান। পরিচারিকার থেকে জানতে পেরেই ছুটে যান তিনি। গিয়ে দেখেন দু'জনেই রক্তাক্ত অস্থায় পড়ে রয়েছেন। তবে তার মধ্যে যদুনাথ মিত্র তখনও জীবিত অবস্থায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এরপর পুলিশ গিয়ে চিকিৎসককে হাসপাতালে পাঠায়। একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে।
ওই প্রতিবেশী আরও জানান, এলাকায় খুবই সম্মানীয় ছিলেন ওই দম্পতি। কারও সঙ্গে কোনওদিন কোনও বিবাদও ছিল না। তাঁদের দুই কন্যা। একজন বিবাহ সূত্রে সিঙ্গাপুরে থাকেন। অপরজন স্থানীয় কোনও একটি স্কুলের শিক্ষিকা। ঘটনায়, রীতিমতো শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে ধন্ধে এলাকাবাসী।
এদিকে খবর পেয়ে তড়ঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুয়ে যান রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি জানান, জখম চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি। আর তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর দজেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির বাড়ির পাশেই থাকেন স্থানীয় কাউন্সিলর। সকালে একজন স্থানীয় ছেলে খবর দেন। তার ঘটনাস্থলে পৌঁছন সুজিত বসু। ওই জায়গা থেকে ছুরি পাওয়া গিয়েছে। একইসঙ্গে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
সুজিত বসু আরও জানান, মিলিটারিরে চক্ষু চিকিৎসক ছিলেন যদুনাথ মিত্র। তাঁর দুই মেয়ে। খবর পেয়ে এক মেয়ে ছুটে আসেন। অফর জন বাইরে রয়েছেন। কিছু নিশ্চয় কোনও সমস্যা ছিল। বেশকিছু কারণ ছিল, সেগুলি চিঠিতে পাওয়া যাচ্ছে। শৌচালয়েই স্ত্রীকে খুন করে তারপর নিজে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই আর বেশি কিছু বলতে চাননি সুজিত বসু।