এই সময়: গরম পড়েই গিয়েছে। গ্রীষ্মও আসন্ন। হু-হু করে বাড়বে এসি-র ব্যবহার। সেই সঙ্গে বাড়বে এসি থেকে ছড়িয়ে পড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও। তাই এ নিয়ে আগাম সতর্ক করল দিল্লি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং ন্যাশনাল ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এনডিএমএ) যৌথ ভাবে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলির অগ্নি প্রতিরোধ ও অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থার অডিটের নির্দেশ দিল সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য দপ্তরকে। ১৩ দফা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সেগুলি যেন অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে হাসপাতালগুলি।হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড ঠেকাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে একযোগে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদারকি করবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। এখন থেকেই দফায় দফায় এই দুই দপ্তরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ফায়ার-সেফটি অডিট সরেজমিন পরিদর্শন করতে হবে। প্রতিটি হাসপাতালের যাতে দমকল দপ্তর থেকে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট থাকে, তা-ও দেখতে বলা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে ফায়ার মক ড্রিল ও উদ্ধারকার্যের (ইভ্যাকুয়েশন প্ল্যান) উপরেও। আগুন লাগলে প্রতিটি হাসপাতালের যাতে রোগীদের নির্বিঘ্নে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তর করা যায়, তার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাও রাখতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আগুনের প্রতিরোধের উপর। তার পরেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায়। এর মধ্যে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়মিত পরীক্ষার পাশাপাশি বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলির ‘লোড’ পরখের কথাও বলা হয়েছে। এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, ‘ইলেকট্রিক লোড অডিটের পাশাপাশি অক্সিজেন প্লান্ট ও পাইপলাইনের সুরক্ষা মজবুত রাখার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। প্রতিটি ভবনকে ফায়ার অ্যালার্ম ও স্মোক ডিটেক্টর ডিভাইসে মুড়ে ফেলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, সতর্ক করা হয়েছে দাহ্যপদার্থ মজুত না রাখার ক্ষেত্রেও। বলা হয়েছে, সবক’টি হাসপাতাল ভবনে যেন স্প্রিঙ্কলার ও হোসপাইপ থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। মেনে চলতে হবে ‘ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড’-এর নিয়মকানুনও। কর্মীদের ফায়ার ড্রিলের নিয়মিত মহড়া ও প্রশিক্ষণের উপরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।