পর্যটকদের জুলুক যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি? জওহরলাল নেহরু মার্গে আটকে দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের গাড়ি? দাবি নিয়ে শোরগোল পড়ে যেতেই এবার মুখ খুলল সেনা।
সেনার প্রতিক্রিয়াভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। কোনও টুরিস্ট মুভমেন্ট বন্ধ করা হয়নি। সাধারণ নাগরিকদের গাড়ির রুট পরিবর্তন কিংবা তাদের পারমিট দেওয়ার ক্ষেত্রে সেনার কোনও ভূমিকা নেই। জওহরলাল নেহরু মার্গে কোনও গাড়ির পারমিটও সেনা ইস্যু করে না।ভারতীয় সেনার ত্রিশক্তি কর্পসের পক্ষ থেকে একটি অফিসিয়াল বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, পর্যটক কিংবা নাগরিকদের গাড়ি কোন রুটে যাবে তা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে কোনও পারমিট ইস্যু করে না সেনা। গাড়ি আটকানোর ক্ষেত্রেও সেনার কোনও ভূমিকা নেই।' এ ছাড়াও সেনার তরফে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, জুলুক যাওয়ার রুটে জওহরলাল নেহরু মার্গে গাড়ি আটকাবে না সেনা। নাগরিকদের প্যানিক করার কোনও কারণ নেই।
প্রেস রিলিজে ভারতীয় সেনার তরফে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সিকিম প্রশাসন জুলুক যাওয়ার নির্দিষ্ট রুট, জওহরলাল নেহরু মার্গে গাড়ি যাতায়াত নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে। এই রুটে রাস্তা খারাপ কিংবা যাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার আশঙ্কা থাকলে রুট পরিবর্তন কিংবা বন্ধের নির্দেশ দেয় রাজ্যের সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ। পর্যটকদের জুলুক যাওয়ার জন্য গাড়ির পারমিটও ইস্যু করে রাজ্য প্রশাসন। এখানে সেনার কোনও ভূমিকা নেই।
জুলুক যাওয়ার পারমিট মেলে কী ভাবে?জুলুক যাওয়ার রুটের নির্দিষ্ট পারমিট থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনা পর্যটকদের গাড়ি আটকে দিচ্ছে। এমনই একটি অভিযোগ ওঠে সম্প্রতি। খবর চাওর হয়ে যায় সর্বত্র। শোরগোল পড়ে যায় পর্যটকদের মধ্যেও। জুলুকের পর্যটন অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই প্রতিক্রিয়া দেয় সেনা।
ভারতীয় সেনার দাবি, পর্যটকদের গাড়ির পারমিট চেক করার জন্য ওই রুটের নির্দিষ্ট স্পটে পুলিশের চেক পোস্ট রয়েছে। মূল চেকিং পয়েন্ট রয়েছে তিন মাইল ট্রাফিক চেক পোস্ট। এ ছাড়াও শেরাথাং এবং ছাঙ্গুতেও পর্যটকদের গাড়ির পারমিট চেক করা হয় পুলিশের তরফে। সেনার বক্তব্য, সম্প্রতি ভারী তুষারপাতের কারণে অনেক পর্যটকদের গাড়ি আটকে পড়ে এবং সে ক্ষেত্রে সুবিধামতো পারমিট ইস্যু করে সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সেনার তরফে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি বছরই ভারী তুষারপাত, ধস কিংবা রাস্তা খারাপ থাকলে অনেকসময় ট্যুরিস্টদের গাড়ি মাঝপথে আটকে পড়ে। সে সময় প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার নামে সেনা। পর্যটদের উদ্ধার করে খাবার, আশ্রয়ের ব্যবস্থাও করা হয়। এরপর তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যের রুটে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি এমন শেষ উদ্ধারকাজ করেছিল সেনা। সে সময় সিকিমে প্রায় ৫০০ পর্যটক ভারী তুষারপাতের কারণে পাহাড়ি অঞ্চলে আটকে পড়েছিলেন। সেনার ত্রিশক্তি কর্পসই তাদের উদ্ধার করে। স্থানীয় মানুষ এবং পর্যটকদের সাহায্যে যে কোনও মুহূর্তে তৎপর থাকে সেনা।
উল্লেখ্য, এই জওহরলাল নেহরু মার্গ দিয়েই জুলুক, নাথু লা, হরভজন বাবা মন্দিরের মতো স্পটগুলিতে যাওয়া যায়। পাশাপাশি চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এই রুটই ব্যবহার করা হয়।