প্রথম দিন প্রচারে এসেই সন্দেশখালি নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এরপরেই সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে বহিরহাটের প্রার্থী করে সকলকে চমকে দিয়েছিল বিজেপি। শুধু তাই নয়, ফোনে সেই রেখার সঙ্গে কথা বলেছিলেন স্বয়ং মোদী। এরপরের দিনই ভোট প্রচারে নামলেন রেখা। সন্দেশখালি প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি বললেন, 'লড়াই এখনও অনেক বাকি।'রেখা পাত্রকে বিজেপি বসিরহাটের প্রার্থী করার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়েছিল। প্রথমে অনেকেই দাবি করছিলেন, 'বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক' এই প্রার্থী। কিন্তু, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয় আকচা আকচি। সন্দেশখালির অন্যান্য প্রতিবাদী মুখরা সরব হন, 'কেন রেখা পাত্র?' অনেকের মধ্য থেকে তাঁকে কোন ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হল? তা নিয়েও উঠছিল প্রশ্ন।
যদিও এই বিতর্কের ঝঞ্ঝা অনেকটাই কাটিয়েছে মোদীর ফোন কল। উৎসাহিত এই প্রার্থী বুধেই নামলেন প্রথম প্রচারে। এদিন প্রচারে নেমে সন্দেশখালি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে রেখা পাত্র বলেন, ‘এখনও অনেক লড়াই বাকি রয়েছে। নির্বাচনে জয়ী হতে হবে।’
এদিন রেখা পাত্রকে ঘিরে উচ্ছ্বাস দেখা যায় সন্দেশখালির বাসিন্দাদের মধ্যে। অর্থাৎ নাম ঘোষণার পর রেখা পাত্রকে ঘিরে যে চাপা অসন্তোষ ছিল, মোদীর ফোন কলেই তা মিলিয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালির প্রার্থী রেখা পাত্রকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মোদী। রেখা এদিন প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, 'সন্দেশখালির মা -বোনেদের কাছে আপনি ভগবানের মতো। ২০১১ সাল থেকে ভোট দিতে পারিনি।' গোটা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে বলে জানান মোদী। তিনি আরও আশ্বাস দেন, বিষয়টি জানার পর অবশ্যই নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে। তাঁর নাম ঘোষণার পর সন্দেশখালির সকলেই খুশি বলে জানিয়েছিলেন রেখা।
সন্দেশখালির রেখা পাত্রকে ফোন প্রধানমন্ত্রী মোদীর! কী বললেন?
রেখার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শোনা যায় মোদীর কণ্ঠে। তিনি বলেন, 'আপনাকে প্রার্থী করে অত্যন্ত মহৎ কাজ করেছি। অত্যন্ত কম মানুষ হন যাঁরা তাঁদের বিরোধিতা করা মানুষজনের পাশে দাঁড়ান। যাঁরা আপনার বিরোধিতা করছেন তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন।'
মোদীর এই ভোকাল টনিকের পর মনোবল আরও চাঙ্গা এই প্রার্থীর। এদিকে দলের মধ্যে চাপা যে অসন্তোষ কাজ করছিল তাও কেটে গিয়েছে। সবমিলিয়ে রীতিমত উচ্ছ্বাস নিয়েই প্রথম প্রচারে দেখা গেল রেখা পাত্রকে। উল্লেখ্য, ১ জুন ভোট বসিরহাটে। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত করা হবে ৪ জুন।