• বারুইপুর হাসপাতালে কোমায় ক্যাটরিনা, খবর পেয়েই ছুটে দিদিকে নিতে এলেন ভাই
    এই সময় | ২৭ মার্চ ২০২৪
  • ফোনে মুখ গুঁজে থাকলে অনেক সময় ঘরের লোকের কাছে 'মুখ' শুনতে হয়। কাছে মানুষ রেগে যান। কিন্তু, এবার সোশ্যাল মিডিয়াই বাংলার হাসপাতালে ভর্তি থাকা মেয়ে ক্যাটরিনার সঙ্গে মিলিয়ে দিল ঝাড়খণ্ডের পরিবারকে। আনন্দে চোখে জল মুর্মু পরিবারের।গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এক মহিলা। ইউটিউবে ওই মহিলার বক্তব্য সহ ভিডিয়ো দেখে হাসপাতালের হদিশ পায় মহিলার পরিবার। তাঁকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে পরিবারের হাতে তুলে দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। এদিন, বাড়ি ফেরার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাওড়া স্টেশনে তাঁকে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। একমাস পর বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি ওই মহিলা। নতুন জীবন পেয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর পরিবার।

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ২১ ফেব্রুয়ারি ওই মহিলাকে কয়েকজন ব্যক্তি হাসপাতালের বেডে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। মহিলার বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। দগদগ করছিল ঘা। এই অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিকিৎসকরা দেরি না করে চিকিৎসা শুরু করেন। এরপর সুপারের পরামর্শে শল্য বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁর অস্ত্রোপচার করেন। বিশেষ টিম গঠন করে চিকিৎসার নজরদারি করা হয়। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন ওই মহিলা।

    ইউ টিউবে দিদির ছবি দেখতে পান ওই মহিলার ভাই মাইকেল মুর্মু। দিদিকে ফিরে পেয়ে তিনি বলেন, 'এভাবে ওকে ফিরে পাব ভাবিনি। হাসপাতালের কেউ ইউ টিউবে দিদির বক্তব্য সহ অবস্থার কথা পোস্ট করে। সেই ভিডিয়ো দেখে আমরা জানতে পারি বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ও। এমনকী, তাতে হাসপাতালের ফোন নম্বর দেওয়া ছিল। তারপরেই আমরা হাসপাতালে যোগাযোগ করে চলে আসি।'

    মাইকেল বলেন, ' দিদি কাজের জন্য প্রায় কলকাতায় আসত। ৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় এসেছিল। তারপর থেকে দিদির হদিশ পাওয়া যায়নি।' নিজের পরিবার এবং ১২ বছরের মেয়ের কাছে ফিরতে পেয়ে হাসপাতালের নার্স, অতিরিক্ত সুপারকে প্রণাম করেন ক্যাটরিনা মুর্মু নামক ওই মহিলা।

    তিনি বলেন, 'কলকাতাতে কাজ করতে এসেছিলাম। কিছুদিন কাজ করার পর বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। কী ভাবে এখানে এসেছি জানি না। তবে সকলেই আমাকে নতুন জীবন দেয়। আমি কোমাতে ছিলাম। পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ওরাই চেষ্টা করে গিয়েছে।'
  • Link to this news (এই সময়)