• খাবারের লোভে ফের স্কুলে হানা গজরাজের, ভাঙল রান্নাঘরের দেওয়াল...
    ২৪ ঘন্টা | ২৭ মার্চ ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আবারও খাদ্যের লোভে এসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রান্না ঘরের দেওয়াল ভেঙে দিল গজরাজ। ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের মহাবারি দেও পানি বস্তি বাংলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

    জানা গিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত এগারোটার সময় একটি দাঁতাল এলাকায় আসে। খাদ্যের লোভ সে দেও পানি বাংলা প্রাথমিক বিদ্যালয় রান্নাঘরে দেয়াল ভেঙে তছনছ করে দেয়। রান্নাঘরে তেমন কিছু খাবার না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয় হাতিটি। ঘণ্টাখানেক ভাঙচুর চালিয়ে হাতিটি আবার চাপড়ামারি জঙ্গলে চলে যায়।এলাকার পঞ্চায়েত তথা মাটিয়ালি বাতাবারি এক নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ইগনিশ টিজ্ঞা বলেন, গত রাতে এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় রান্নাঘরের একটি দেওয়াল হাতি ভেঙে দেয়। বর্ষার সময় রান্না ঘরের দেওয়াল ভেঙে যাওয়ায় পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের রান্না করতে অসুবিধায় পড়তে হবে। তাই তখন প্লাস্টিক দিয়ে জায়গাটা ঢাকার ব্যবস্থা করা হবে। বিষয়টি মেটেলি সার্কেলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসআই-কে জানানো হবে, যাতে খুব শিগগিরই রান্নাঘরটি মেরামত করে দেওয়া যায়।বিদ্যালয়ের শিক্ষক শুভজিৎ দত্ত জানান, আজ বুধবার সকালেই ঘটনাটি জানতে পেরে তিনি স্কুলে আসেন। এসে দেখেন, রান্না ঘরের একটি দেওয়াল হাতি ভেঙে দিয়েছে। বর্ষার সময় দেওয়াল ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মিড ডে মিলে রান্না করতে অসুবিধায় পড়তে হবে। তাই বিষয়টি দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।কদিন আগেই হাতির হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ৭০ বছরের মণিকুমার সুব্বা নামে এক ব্যক্তির। জমিতে কাজ করতে গিয়ে হাতির হামলায় মৃত্যু হয়েছিল বৃদ্ধের। মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকের লুকসানের কালীখোলা বস্তির ঘটনা। এর ঠিক একদিন আগেই হাতির হানায় এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছিল। মালবাজার মহকুমার ধুপঝোরা এলাকার ঘটনা ছিল সেটি। ঘন অন্ধকার থাকায় হাতিটিকে দেখতে পাননি তিনি। হঠাৎই সামনে তাকিয়ে দেখেন কালো পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে বুনোহাতি! বৃদ্ধকে  শুঁড়ে তুলে আছাড় দিয়েছিল হাতিটি। গুরুতর জখম অবস্থায় বৃদ্ধকে উদ্ধার করে নাগরাকাটা সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।এর আগে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছিল শিবদয়াল ওরাওঁ (৫০) নামের আর এক ব্যক্তির। বাড়ি দক্ষিণ ধুপঝোরা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, রাতে ওই ব্যাক্তি শৌচকর্ম করতে বেরোন। ওই সময় গরুমারা জঙ্গল থেকে একটি হাতি বের হয়ে চলে আসে গ্রামসীমানায়। অন্ধকার থাকায় শিবদয়াল হাতিটিকে দেখতে পাননি। তিনি হাতির সামনে পড়ে যান। হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে আশেপাশের লোকজন ছুটে গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে। লোকজনের চিৎকারে হাতিটি জঙ্গলে ফিরে যায়। তবে ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছিল। এলাকায় পৌঁছছিলেন খুনিয়া স্কোয়াডের বনকর্মী ও মেটেলি থানার পুলিস।এর কিছুদিন আগে হাতি সটান এসে হাজির হয়েছিল রিসর্টে! জলপাইগুড়ি গরুমারা-সংলগ্ন লাটাগুড়ি এলাকার এক বেসরকারি রিসর্টে এভাবে হাতির অনুপ্রবেশে সেবার তৈরি হয়েছিল ঘোর চাঞ্চল্য। আনন্দের পরিবেশও তৈরি হয়েছিল অবশ্য। রিসর্ট কর্তৃপক্ষ তো বটেই, পাশাপাশি ওই রিসর্টে আসা পর্যটকদের কানে হাতি আসার খবর পৌঁছতেই তাঁরা আনন্দিত হন। রিসর্টের ভেতরে থেকেই হাতির দর্শন পেয়ে যান তাঁরা। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)