মমতা সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেও দমলেন না! এবার কাকে নিশানা দিলীপের'
২৪ ঘন্টা | ২৭ মার্চ ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মমতা বন্দ্যোরাধ্যায়কে নিয়ে তাঁর কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে সাফাই বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি দিলীপকে চিঠিও ধরিয়েছে দিল্লি। ফলে প্রবল চাপের মুখে পড়ে ক্ষমা চাইলের বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তবে ক্ষমা চাওয়ার পরও ঘুরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। তবে এর পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের ওই মন্তব্যের বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাতে গেল তৃণমূল।
নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশা তিনি প্রশ্ন তুলেন শুভেন্দু অধিকারী ও শিশির অধিকারী সম্পর্কে তৃণমূল নেতাদের মন্তব্য নিয়েও। তাঁর দাবি ওই ধরনের মন্তব্য তৃণমূল নেতারা যখন করে থাকে তখন তাদের দল কেন চুপ করে থাকে। দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রশ্ন হচ্ছে আমারা ভাষা নিয়ে বহু লোকের আপত্তি রয়েছে। পার্টিও বলেছে, অন্যরাও বলেছে যে ভাষাটা অসংশদীয়। যদি তাই হয় তাহলে তার জন্য আমি দুঃখিত।খারাপ ভাষার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেও দিলীপ ঘোষ বলেন, দুঃখ প্রকাশ করেও প্রশ্ন করব তাঁরই পার্টির এক নেতা, তাঁরই পরিবারের এক নেতা তিনি কাঁথিতে দাঁড়িয়ে আমাদের নেতার তার নামে, তাঁর বাবার নামে এর চেয়েও খারাপ ভাষায় কথা বলবে, গালাগালি দেবে? বিরোধী দলের নেতার কি কোনও মান সম্মান নেই! তাঁর বাপ তুলে কথা বলবে? তাঁর বাবা বাংলার একজন বরিষ্ঠ রাজনীতিবিদ। তিনি এখনও জীবিত রয়েছেন। তাঁর মান সম্মান নেই? তখনও তো টিএমসির কেউ কিছু বলে না! তখন পার্টি থেকে স্টেটমেন্ট দেওয়া হয় না কেন? এইজন্য রাজনৈতিক বক্তব্য আমি রেখেছি। শুভেন্দু অধিকারী পুরুষ বলে তাঁর সম্মান নেই? তাঁর বাবার সম্মান নেই? কেবল মহিলা বলেই একজনের সম্মানের প্রশ্ন উঠবে? যা ইচ্ছে বলা যাবে? কথায় কথায় মহিলা কার্ড বের করা হবে? আমি তারই প্রতিবাদ করেছিলাম।এনিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, এটাই প্রথন নয়, ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন পায়ে চোট পেয়েছিলেন তখন দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন উনি বারমুডা পরুন। বিরোধী দলনেতা রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে বেগম-সহ একাধিক অশ্রাব্য ভাষা বলবেন? প্রধানমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে 'দিদি ও দিদি' বলে ব্যাঙ্গ করেছেন। মহিলাদের অপমান করা ওদের একটা প্রচলিত কালচার।