প্রসেনজিৎ সর্দার: ক্যানিং পূর্ব জীবনতলায় হোসেন শেখের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীদের মারধরের ঘটনায় দুই তৃণমূল কর্মীর জামিন পাওয়ার পরে তাদের মালা পরিয়ে বরণ করে কর্মী সভা করলেন বিধায়ক শওকত মোল্লা। সমাজ বিরোধীদের নিয়ে ভোটে অশান্তি পাকানোর জন্য জামিন আটকানো হয় বলে দাবি তৃণমূলের। বরণ করেন বিধায়ক শওকত মোল্লার দাবি, সবটাই পদ্ম শিবিরের ষড়যন্ত্র।
ক্যানিং পূর্ব জীবনতলা মঠের দিঘি এলাকায় বিজেপির মন্ডল সভাপতি সুব্রত দাসের বাড়িতে বিজেপি কর্মী বৈঠকে আচমকাই তৃণমূল বাহিনী হোসেন শেখের নেতৃত্বে বলে হামলা চালিয়েছিল অভিযোগ করে বিজেপি। সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী ও মন্ডল সভাপতি গুরুতরভাবে আহত হয়। পাশাপাশি তৃণমূলেরও দুই কর্মী ও আহত হয়েছিল বলে জানান এলাকার বিধায়ক শওকত মোল্লাও।সেই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগে দুই তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার হয়- জবেদ শাহাজী ও শৈলেন প্রামানিক। এই দুজন হোসেন শেখের সঙ্গী বলেও জানা যায়। যে শওকত মোল্লা ও সন্দেশখালীর শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি বিজেপির। এরপর তারা জামিন পাওয়ার পর তাদেরকে গলায় মালা পরিয়ে শওকত মোল্লা কর্মীসভা করেন ওই এলাকায় জীবনতলা মঠের দিঘিতে। কর্মী সভা থেকে তিনি বলেন, রাজ্যের বিরোধীদল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর উস্কানিতে জীবনতলা মঠের দিঘিতে চার পয়সার দুষ্কৃতীদের ভেতর থেকে মদত দিয়ে জীবনতলা শান্তিপূর্ণ জায়গায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা চালিয়েছিল।হুঁশিয়ারি দিয়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা আরও বলেন, যত ভোট এগিয়ে আসবে এদের নাক, নখ, মুখ বেরিয়ে পড়বে। তাই মাথা ঠান্ডা করে শিরদাঁড়া সোজা করে এদের এমন শিক্ষা দিতে হবে। ২০২৬-এ ভোটের ময়দানে যাতে না আসতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রসঙ্গত, রবিবার ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার অন্তর্গত জীবনতলা থানার মাঠেরদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষের মধ্যে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি এবং দলের আরও এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।