যাদবপুরে এবার নতুন প্রার্থী, ৭৫ বছর পর নির্বাচনি লড়াইয়ে হিন্দু মহাসভা
২৪ ঘন্টা | ২৭ মার্চ ২০২৪
মৌমিতা চক্রবর্তী: যাদবপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী।অখিলভারত হিন্দুমহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুরের মত রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ও ঐতিহাসিক কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়তে চলেছেন।
ওনার নেতৃত্বেই দীর্ঘ প্রায় পঁচাত্তর বছর পর দলগত ভাবে হিন্দুমহাসভা লোকসভা নির্বাচনে বাংলা তথা ভারতবর্ষের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে নির্বাচনে লড়াই করতে চলেছে।যাদবপুর কেন্দ্র থেকে জয়ের ব্যাপারে একশ শতাংশ আশাবাদী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী বলেন, ‘যাদবপুর কেন্দ্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে যে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে তাতে জনৈক নেত্রী শিব ঠাকুরের প্রতি যে কুরুচিকর কথা বলেছেন তাতে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। হাতের তীর আর মুখের কথা একবার ছুঁড়ে দিলে আর ফেরত নেওয়া যায়না। ওনার নিজের দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং ওনার দলের ভোটাররাও নিশ্চই ওনার কদর্য মন্তব্যকে সমর্থন করেননা’।তিনি আরও বলেন, ‘তার উপর আরেকটি দলে প্রার্থী হয়েছেন জনৈক পলাতক গাঙ্গুলী যিনি শেষ বিধানসভা নির্বাচনে বোলপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে ভোটের ফল বেরোনোর আগেই নিজের পার্টি কর্মীদের নির্বাচনী হিংসায় বিপদের মধ্যে ফেলে বোধ হয় উসেইন বোল্টের চেয়েও দ্রুত গতিতে দিল্লী পালিয়ে গিয়েছিলেন’।তিনি জানিয়েছেন, ‘এহেন পরিযায়ী পাখিরা বসন্তের কোকিল সেজে আসে তারপর ভোটে হেরে আবার দিল্লীতে নিজের আখের গোছাতে ফিরে যায়। এই ধরনের প্রার্থী চয়ন করার ফলে এমনিতেই কর্মী সমর্থকদের মনোবল তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে’।বাম প্রার্থী সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, ‘আরেকটি রাজনৈতিক দল হচ্ছে লাল সন্ত্রাস তথা গণহত্যার কারিগর। সবাই জানে নেতাই, নন্দীগ্রাম, ধানতলা, বানতলা, বিজন সেতুতে আনন্দমার্গীদের গণহত্যা, সাঁইবাড়িতে হতভাগ্য মাকে সন্তানের রক্তমাখা ভাত খাওয়ানো, মরিচঝাঁপিতে পূর্ববঙ্গীয় হিন্দুদের নৃশংস ভাবে গণধর্ষণ এবং গণহত্যা করার মত ঘটনায় এদের হাত রক্তরঞ্জিত। যাদবপুরে অনেক সংস্কৃতিবান মানুষের বসবাস হলেও লাল সন্ত্রাসীরা বরাবরই একটি সুস্থ ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী। আর সেই জন্যই এরা নেতাজীকে তোজোর কুকুর, রবীন্দ্রনাথকে বুর্জোয়া কবি, রামকৃষ্ণ ঠাকুরকে মৃগী রুগী বা বিবেকানন্দকে বেকার যুবক ইত্যাদি বলার মত পাপ করে রেখেছে। এরা শ্রেণী সংগ্রামের নামে মানুষে মানুষে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সম্প্রদায়িক বিদ্বেষের বিষাক্ত বৃক্ষের বীজ রোপণ করে’।তিনি আরও জানিয়েছেন, এই অবস্থায় যাদবপুরের ভোটাররা মুক্ত হস্তে উজাড় করে ভোট দিয়ে হিন্দু মহাসভাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন বলে চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বিশ্বাস।ইতিমধ্যেই প্রচারের জন্য পায়ে হেঁটে প্রতিটি ঘরে পৌঁছে যাওয়ার জনসংযোগ কর্মসূচী শুরু করেছেন চন্দ্রচূড়। ঐতিহ্য থাকলেও লোকসভার মত এত বড় নির্বাচনে ভোটের খরচ বহন করার ক্ষমতা হিন্দু মহাসভার নেই। তাই ভোটের খরচ বহন করতে চন্দ্রচূড় বাবু কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে মাধুকরীর পাশাপাশি চা এবং সরবত বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।ওনার বক্তব্য দেশের স্বার্থে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু যদি হাত পেতে বলতে পারেন "Give me blood and I will give you Freedom" তাহলে নেতাজির একজন ক্ষুদ্র অনুগামী হয়ে দেশের জন্য সরবত বা চা বিক্রি তো অবশ্যই, এমনকি লোকের জুতো পালিশ করতেও লজ্জা নেই ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর।রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে অফিস সেক্রেটারি শ্রাবণী মুখার্জী, অ্যাডভোকেট পীযুষ কান্তি সরকার, অ্যাডভোকেট দীপ্তিশ গুহ, শম্পা ঘোষ, অভিজিৎ দাস, রিয়া মন্ডল, জিতেন গোস্বামী, বিদ্যুতপর্ণা দাস, ডক্টর কিংশুক গোস্বামী, সায়ন্তি ভট্টাচার্যরা সম্মিলিত ভাবে যাদবপুর কেন্দ্রের জন্য রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নাম মনোনীত করেন।