Lok Sabha Election 2024: কীভাবে কংগ্রেস পেল তাদের 'পাঞ্জা'! জানুন হাত চিহ্নের ‘হাত বদল’-এর মজার গল্প
এই সময় | ২৭ মার্চ ২০২৪
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকী আছে। নির্বাচনের আগে যযুধান সব পক্ষ। নিজেদের দলের হয়ে প্রচারে ময়দানে নেমে গেছেন পোড়খাওয়া নেতা মন্ত্রীরা। যে যার নিজের দলের প্রতীককে সামনে রেখে ব্যাস্ত প্রচারে। কিন্তু জানেন কী এই প্রতিটি দলের নির্বাচনী প্রতীকের পিছনে রয়েছে মজাদার কিছু গল্প।১৯৫১-৫১ সালে ভারতে প্রথমবারের জন্য অনুষ্ঠিত হয়েছিল সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচন ছিল একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন। সেইসঙ্গে এই নির্বাচনের গুরুত্বও ছিল প্রচুর। কারণ গোটা পৃথিবীর নজর ছিল ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের দিকে।
স্বাধীন ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের সয় বেশিরভাগ ভোটারই ছিলেন নিরক্ষর। ফলে সেই নিরক্ষর ভোটাররা কীভাবে তাদের পছন্দের প্রর্থীকে ভোট দেবেন তাই নিয়ে দেখা দেয় সমস্যা। ব্যালট পেপারে প্রার্থীদের নাম লিখে ভোটারদের সাহায্য নিলে ভোটের গোপনীয়তা নষ্ট হবে। আবার অন্যদিকে, নানান রঙের ব্যালট বাক্সে প্রার্থীদের নাম থাকলেও সমস্যা হতো। তাই রাজনৈতিক দলগুলির কাছে এর বিকল্প চাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন জাতীয় দলের মর্যাদা পাওয়া ১৪ টি দলকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করে দেয়।
কোন দলের কোন প্রতীক?ডঃ বি. আর. আম্বেদকরের সর্বভারতীয় তফসিলি জাতি ফেডারেশনকে একটি হাতি, সর্বভারতীয় কংগ্রেসকে একজোড়াবলদ, সর্বভারতীয় জন সংঘকে একটি প্রদীপ এং সমাজান্ত্রিক দলকে একটি গাছ নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। সিপিআই পায় কাস্তে এবং গমের শীষ, অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক পায় সিংহ প্রতীক, অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক প্রতীক হিসেবে পায় হাতের নখ।
কিছু অদ্ভূত প্রতীকঅল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভাকে ঘোড়া এং সওয়ারি নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ করা হয়। কিষান মজদুর প্রজা পার্টিকে দেওয়া হয় কুঁড়েঘরের প্রতীক। অখিল ভারতীয় রামরাজ্য পরিষদকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে দেওয়া হয় উদীয়মান সূর্য। বিল্পবী সমাজতান্ত্রিক দল পায় কোদাল এবং বেলচা। বিল্পবী কমিউনিস্ট পার্টি পায় মশাল, বলশেভিক পার্টি তারকা এবং কৃষক লোক পার্টি পায় শস্য মাড়াইয়ের প্রতীক। এখন বিএসপির নির্বাচনী প্রতীক হাতি। ইন্দিরা গান্ধী ১৯৬৯ সালে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হলে খনকার প্রধান শিবির একজোড়া ষাঁড়ের নির্বাচনী প্রতীক পায়। ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস পায় গরু-বাছুর নির্বাচনী প্রতীক। পরে ১৯৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধী কংগ্রেস গঠন করলে দল পায় পাঞ্জা প্রতীক। ভারতীয় জনসংঘ সহ অনেক দল ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টি গঠন করে। যার নির্বাচনী প্রতীক ছিল লাঙ্গল কাঁধে কৃষক। ১৯৮০ সালে জনসংঘের নেতারা জনতপার্টি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিজেপি গঠন করে। তখন পদ্মফুল তাদের নির্বাচনী প্রতীক হিসবে বরাদ্দ হয়।