প্রচারের প্রথম দিনেই বিপত্তি! আচমকাই অসুস্থ সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা
এই সময় | ২৭ মার্চ ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলার পর বুধবার প্রচারে নেমেছিলেন বসিরহাটের BJP প্রার্থী রেখা পাত্র। প্রথমদিনে সন্দেশখালিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করার কথা ছিল তাঁর। গিয়েও ছিলেন রেখা। তাঁকে ঘিরে ব্যাপক উচ্ছ্বাসও দেখা যায়। ভালোবাসায় ভেসে কার্যত চোখে জল দেখা যায় রেখা পাত্রের। দিনের শুরুটা ভালোই করেছিলেন রেখা। কিন্তু, বেলার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি, সূত্রের খবর এমনটাই।রেখা পাত্রের আত্মীয় সুজিত পাত্র বলেন, ‘ও অসুস্থ। ডিহাইড্রেশন হয়েছে। আপাতত গাড়িতে রয়েছেন (বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট নাগাদ)। বাড়িতে যাচ্ছেন।’ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বৃহস্পতিবার আদৌ প্রচার ময়দানে দেখা যাবে রেখাকে?
এই প্রশ্নের জবাবে সুজিত বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত আগামীকালের শিডিউল আসেনি। তাই কী পরিকল্পনা তা জানা নেই।’ উল্লেখ্য, বাংলায় সভা করতে এসে একাধিকবার সন্দেশখালি নিয়ে সুর চড়াতে শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সন্দেশখালির মা-বোনেদের প্রসঙ্গ নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি।
এরপরেই কাকে বসিরহাট কেন্দ্রের প্রার্থী করে বিজেপি, সেই দিকে ছিল সব নজর। এদিকে তৃণমূল সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে সরিয়ে টিকিট দিয়েছে হাজি নুরুল ইসলামকে। ২০০৯ সালে যখন রাজ্যে ক্ষমতায় আসেনি তৃণমূল সেই সময় বসিরহাটে জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে আর দল লোকসভায় প্রার্থী করেনি।
সন্দেশখালি নিয়ে যখন সরগরম রাজ্য, সেই সময় সেই হাজি নুরুল ইসলামকেই বসিরহাটে জয় আনার দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল। এরপরেই প্রশ্ন উঠছিল বিজেপি প্রার্থী নিয়ে। গেরুয়া শিবির সন্দেশখালি আন্দোলনের মুখ রেখা পাত্রকে প্রার্থী করে রীতিমতো চমকে দিয়েছিলেন।
রেখা পাত্রকে প্রার্থী করার পর অবশ্য সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলাদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। কোন অঙ্কে রেখাকে বেছে নেওয়া হল? তা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। যদিও এরপরেই মোদীর ফোনকল রীতিমতো বদলে দিয়েছে চিত্রটা।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রেখাকে ফোন করেন। তাঁর কাছ থেকে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে জানতে চান। রেখার উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও শোনা যায় তাঁর কণ্ঠে। মোদীর মুখে রেখার সুখ্যাতি শোনার পর বুধবার প্রথম প্রচারে নেমেছিলেন এই প্রার্থী। সাধারণ মানুষের মধ্যে তাঁকে ঘিরে উচ্ছ্বাস দেখা যায়। কেউ আলতো চুম্বন এঁকে দেয় তাঁর কপালে। হাতজোড় করে তাঁদের ধন্যবাদও জানান রেখা। একসময় চোখের জল মুছতেও দেখা যায় তাঁকে।