কৃষ্ণনগরের রাজবধূ তথা বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন স্বয়ং মোদী। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে এবার BJP-র বাজি তাঁর উপর। কিন্তু, অমৃতা রায়কে নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না! এবার সেই বিতর্কে অধীর উবাচ, 'এই রানিকে চিনি না'।কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের সম্ভাব্য BJP প্রার্থী হিসেবে অমৃতা রায়ের নাম সামনে আসার পর থেকেই যে বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল তা হল মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের ব্রিটিশদের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’। নেটপাড়ায় তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল সমর্থকদের একাংশ। তাঁদের দাবি ছিল, ব্রিটিশদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সিরাজউদ্দলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র।
এই প্রচার নিয়ে যখন তপ্ত রাজ্য রাজনৈতিক মহল সেই সময় মুখ খুলেছিলেন অমৃতা রায়ও। হিন্দুদের রক্ষা করার জন্য তিনি এমনটা করেছিলেন বলে মন্তব্য রাজবধূর। বিতর্ক, মোদীর সঙ্গে কথোপকথন-এই সমস্ত কিছু বিষয় নিয়ে রীতিমতো ‘লাইমলাইটে’ কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির ‘রানিমা’। কিন্তু, তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সপাট জবাব, এই রানিকে চেনেন না তিনি।
বুধবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন অধীর। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের ইতিহাস বিতর্ক নিয়ে। ওঠে রানি অমৃতা রায় প্রসঙ্গও। সাংবাদিকদের স্বমহিমায় অধীর জবাব দেন, ‘আমি কোথাও রাজা রানির বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। রাজা রানি আছেন, থাকবেন। কোথাকার রানি চিনি না ভাই, উদ্ভট কথাবার্তা আমার কাছে বল না।’
অর্থাৎ অমৃতা রায়কে তিনি কোনও আক্রমণ করেননি এবং তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেনি বলে স্পষ্ট মন্তব্য শোনা যায় অধীর চৌধুরীর কণ্ঠে। তবে তাঁর পরিচিতিও যে অজানা, এই দাবিও করে বসেন কংগ্রেস নেতা।
অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে মুচকি হাসি হাসতে দেখা গিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের। তাঁদের কথায়, ‘মানুষ কাজ দেখে ভোট দেন। কোনও ইতিহাস প্রসঙ্গে মন্তব্য করব না। কিন্তু, মহুয়া মৈত্র বিগত কয়েক বছরে যে কাজ করেছেন তা সকলেই দেখেছেন। ফলে এই নিয়ে আলাদা করে কিছু বলব না। অমৃতা রায় রাজনীতিতে এসেছেন। রাজনৈতিক ময়দানেই এর মোকাবিলা হবে।’
উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে প্রচার করবেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে ১০ মার্চ জনগর্জন সভায় উপস্থিত ছিলেন। এখনও পর্যন্ত কোনও প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেননি তিনি। এই প্রথম প্রচারে নামবেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।