নাবালিকা ভাইঝিকে যৌন নির্যাতন করে খুন! স্ত্রীর সাহায্যে দেহ লোপাটের চেষ্টা, সস্ত্রীক গ্রেফতার সেনা আধিকারিক
এই সময় | ২৮ মার্চ ২০২৪
নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে খুন। খুনের দয়ে গ্রেফতার সেনা আধিকারিক। তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে হাড়হিম করা ঘটনা। খুনের পর দেহ লোপাটের চেষ্টা করা হয়। দেহ লোপাটে ওই ব্যক্তিকে সাহায্য করে তার স্ত্রী।স্থানীয় সূত্রে খবর, বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর কাকা কাকিমা নিজেদের কাছে নিয়ে আসে ১১ বছরের ভাইঝিকে। গত ২২ মার্চ ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যতনের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার বেশকিছুক্ষণ পরে নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে সেখানে পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। শিশুটির পোস্টমর্টেম রিপোর্টে জানা যায় যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল শিশুটিকে এবং তাকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছিল। হাসপাতাল থেকেই থানায় অভিযোগ জানানো হয়। পরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ ওই আধিকারিক। খুনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া এবং দেহ লোপাটে মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সেনা আধিকারিকের স্ত্রীকেও।
ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে। তদন্ত চলছে।
তবে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়, গত বছরের ২৩ মার্চ একই ধরণের ঘটনা ঘটে পশ্চিমবঙ্গের তিলজলায়। ঘটনার জেরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা তিলজলা। সেখানেও সাত বছরের এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে খুন করা হয়েছিল। পরে পুলিশি জেরায় ধৃত স্বীকার করে, কীভাবে খুনের আগে শিশুটিকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। তারপর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করা হয়। সূত্রের খবর, সকালে ময়লা ফেলার জন্য বাড়ির বাইরে যায় শিশুটি। দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় নাবালিকার খোঁজ শুরু করেন নাবালিকার পরিবার। পরে তিলজলা থানায় অভিযোগ জানায় শিশুটির পরিবার। শিশুটির খোঁজ শুরু হয়। খতিয়ে দেখা হয় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। সেই ফুটেজ দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়, শিশুটি আবাসনেই কোথাও আছে। খোঁজ শুরু হয় আবাসনেরই সব ফ্ল্যাটে।
সাত বছরের ওই নাবালিকাকে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় তিলজলা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে থানা ভাঙচুরের চেষ্টা করে নবালিকার পরিবারের সদস্য এবং এলাকার বাসিন্দারা। ভাঙচুর চালানো হয় থানা চত্বরে রাখা পুলিশের গাড়ি এবং বাইকে। ছোড় হয় ইট। শেষপর্যন্ত বিক্ষোভকারীদর হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরে ঘটনার মূল অভিযুক্ত বিহারের অলোক কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নাবালিকা যে আবাসনে থাকত সেই আবাসনেরই তিনতলায় থাকত অভিযুক্ত।