• ট্রায়াল রানের আগেই কৃষ্ণনগর-আমঘাটা লাইনে ইঞ্জিন আটকে বিক্ষোভ
    এই সময় | ২৮ মার্চ ২০২৪
  • পরীক্ষামূলকভাবে রেল চলার আগেই লাইনের উপরে ইঞ্জিন আটকে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর শরৎপল্লী এলাকায়। বিক্ষোভের পাশাপাশি অবরোধও করা হয়। পরে অবশ্য স্থানীয়দের দাবি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয় রেলের তরফে। তারপরেই অবরোধ ও বিক্ষোভ তুলে নেয় স্থানীয় মানুষজন।জানা গিয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে এদিন রেল চলার কথা ছিল কৃষ্ণনগর - আমঘাটা লাইনে। অভিযোগ, আর তার আগে নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা নতুন রেললাইন তৈরির কারণে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাতায়াতের প্রধান রাস্তা। সমস্যার কথা তুলে নদিয়ার কৃষ্ণনগর শরৎপল্লী এলাকার প্রায় ২ হাজার মানুষ রেলের ইঞ্জিনের সামনে দাঁড়িয়ে অবরোধ শুরু করেন। অবরোধকারীদের দাবি রাস্তার প্রধান মুখ বন্ধ না করে একটি ক্রসিং করে দেওয়া হোক।

    দ্রুত গতিতে চলছে কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা পর্যন্ত নতুন রেল লাইন তৈরির কাজ। সেই কারণেই রেল কর্তৃপক্ষের তরফে গার্ড ওয়াল দিয়ে বন্ধ করা হয় বিভিন্ন রাস্তার মুখ। এদিকে শরৎপল্লী এলাকার মানুষের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তা আমঘাটা রোড। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। শুধু তাই নয় হাসপাতাল থেকে শুরু করে স্কুল - কলেজের ছাত্র - ছাত্রীদেরও যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি।

    বিক্ষোভকারীদের দাবি, রেল কর্তৃপক্ষের তরফে একটি সার্ভিস রোড তৈরি করা হচ্ছে। তবে তা এখনও সম্পূর্ণ করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, রেললাইনের পাশে যে নালা তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল, সেটিও এখনও অসমাপ্ত হয়ে রয়েছে। তার আগেই এই গার্ডওয়াল দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। শরৎপল্লীর বাসিন্দাদের অভিযোগ, অবিলম্বে সার্ভিস রোডের কাজ সম্পন্ন করে একটি ক্রসিং করে দিতে হবে, যাতে তাঁরা সঠিকভাবে চলাচল করতে পারেন।

    এই বিষয়ে লক্ষ্মণ শর্মা নামে এক ব্যক্তি বলেন, 'আমরা শরৎপল্লীর বাসিন্দারা আজ বিক্ষোভ দেখাচ্ছি। এখানে প্রায় এক থেকে দু'হাজার মানুষের বাস রয়েছে। একমাত্র আমাদের যোগাযোগের রাস্তা নবদ্বীপ রোড। সেটা রেল কর্তৃপক্ষ বন্ধ করতে চাইছে। পাশ দিয়ে যে সার্ভিস রোড তৈরি হচ্ছে সেটা এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ তৈরি হয়নি। পাশের নর্দমাও তৈরি করেনি। ফলে শরৎপল্লীর মানুষের নবদ্বীপ রোডের সঙ্গে একমাত্র যোগাযোগের রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।' বিক্ষোভকারীদের দাবির ভিত্তিতে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এরপরই বিক্ষোভ ও অবরোধ তুলে নেন স্থানীয় মানুষজন।
  • Link to this news (এই সময়)