• কৃষ্ণনগরে বিজেপি প্রার্থী রাজমাতা; 'মীরজাফরের সঙ্গে...', ইতিহাস মনে করাল তৃণমূল!
    ২৪ ঘন্টা | ২৮ মার্চ ২০২৪
  • শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: 'ইতিহাস ফিরে আসে'। প্রধানমন্ত্রীর ফোনের পর, এবার কৃষ্ণনগরের রাজমাতা অমৃতা রায়কে নিশানা করল তৃণমূল। দলের এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্ট, 'মুখ হয়তো পাল্টে গিয়েছে, কিন্তু জমিদারি এখনও রয়ে গিয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে এইসব বিশ্বাসঘাতক, বাংলা-বিরোধীদের প্রত্যাখ্যান করুন। এরা তখনও বিশ্বাসযোগ্য ছিল না, এখনও নয়'।

    ঘটনাটি ঠিক কী? বাংলার ভোট-রাজনীতির সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের নাম। লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগরে এবার রাজমাতা অমৃতা রায়। আজ, বৃহস্পতিবার রাজমাতাকে ফোন করে মোদী। বলেন, 'এই লুটের টাকা কীভাবে গরিবদেরকে আবার ফিরিয়ে দেওয়া যায়, সেই উপায় বের করার জন্য আইনি বিকল্পের দিকগুলি খতিয়ে দেখছেন। ইডি যে নগদ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, সেইসব-ই আসলে সাধারণ মানুষের টাকা। সেই টাকা যাতে গরিব লোকদের কাছে যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছেন'। সঙ্গে বার্তা, 'আমার বিশ্বাস পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পরিবর্তনের পক্ষেই ভোট দেবে'।সেই কপোকথনের অডিও ক্লিপকে হাতিয়ার করেই আসরে তৃণমূল। এদি দলের এক্স হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট দেওয়া হয়, '১৭৫৭; মীরজাফর, জগৎ শেঠ ও উমি চাঁদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এবং শিরদাঁড়াহীন বিশ্বাঘাতকের মতো নিজেকে ব্রিটিশদের বিক্রি করে দিয়েছিলেন। ২০২৪; রাজমাতা অমৃতা রায় নিলর্জ্জের মতো বাংলা-বিরোধী বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। আবার বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন'। কলকাতার লা মার্টিনিয়ার স্কুলে পড়াশোনা অমৃতা রায়ের। তারপর লোরেটো কলেজ। পরে তিনি ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে মন দেন তিনি। কিন্তু সেটিকে পেশা করেননি, বরং নিজের পরিবার, ঐতিহ্য নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন অমৃতা। নদিয়া জেলা রাজনৈতিক মহলে খবর, কৃষ্ণনগর-সহ জেলায় রাজমাতার প্রভাব যথেষ্টই। সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন তিনি।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)