• 'ইডির বাজেয়াপ্ত ৩০০০ কোটি গরিবদের হাতে', মোদীর 'গ্যারান্টি'-তে 'ভাঁওতা' দেখছে তৃণমূল!
    ২৪ ঘন্টা | ২৮ মার্চ ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: নতুন সরকার গঠনের পর বাংলা ফিরবে ইডির বাজেয়াপ্ত টাকা! কীভাবে? মোদীর 'গ্য়ারান্টি'-তে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মতে, 'প্রধানমন্ত্রী এই যে কথাটা বাজারে ছাড়া হয়েছে, এটা বিরাট বড় ভাঁওতা, বিরাট বড় নাটক'।

    ঘটনাটি ঠিক কী? ব্যবধান মাত্র একদিনের। রেখা পাত্রের পর এবার রাজমাতা অমৃতা রায়কে ফোন করলেন তিনি। লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অমৃতা। কবে? আজ, বুধবার।ফোনে রাজমাতাকে মোদী বলেন, 'এই লুটের টাকা কীভাবে গরিবদেরকে আবার ফিরিয়ে দেওয়া যায়, সেই উপায় বের করার জন্য আইনি বিকল্পের দিকগুলি খতিয়ে দেখছেন। ইডি যে নগদ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, সেইসব-ই আসলে সাধারণ মানুষের টাকা। সেই টাকা যাতে গরিব লোকদের কাছে যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছেন'। সঙ্গে বার্তা, 'আমার বিশ্বাস পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পরিবর্তনের পক্ষেই ভোট দেবে'।তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, 'প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন? এই সরকার নয়, পরের সরকার এসে চেষ্টা করবে! ইডি তো দফায় দফায় বহু টাকা বহু জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত করেছে। তাহলে এতদিন করেননি কেন? তিনি বলছেন, প্রয়োজনে নতুন আইন আনার কথা ভাবব। চলতি যে আইন আছে, সেই আইনকে কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্য়েই সেই কাজ শুরু হয়নি কেন'?কুণালের আরও বক্তব্য, 'ইডির উপরে অ্যাডজুডিকেটিং অথরিটি আছে।  অ্যাডজুডিকেটিং অথরিটিও যদি সায় দেয়, কিন্তু তারপরেও কোর্টে মামলা আছে। সেই মামলায় ফয়সালার পর যতক্ষণ না প্রমাণিত হবে যে, ইডি ঠিক। সংশ্লিষ্ট ব্য়ক্তিরা ভুল। ততক্ষণ পর্যন্ত কিন্তু এই টাকা বিলোবার অধিকার প্রধানমন্ত্রীকে কেউ দিচ্ছে না। এটা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের আওতাভুক্ত, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি'।এর আগে, ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে বিদেশ থেকে কালো টাকা উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। বলেছিলেন, প্রত্যেক নাগরিকের অ্য়াকাউন্টের ১৫ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেবেন। কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, 'বাংলার মানুষ এখনও অপেক্ষা করে আছে, কবে ১৫ লক্ষ টাকা পাবে? জুমলা দেওয়ার একটা সীমা আছে। প্রত্য়েকটা জিনিসের একটা পদ্ধতি আছে। আমি জানি না, ইডি-র হেফাজতে নেওয়া ৩ হাজার কোটি টাকা.. কোন টাকার কথা বলছেন? এরমধ্যে হিমন্ত বিশ্বশর্মা টাকা আছে নাকি অজিত পওয়ারদের টাকাগুলি আছে'?কংগ্রেস মুখপাত্রের মতে, 'আসলে নির্বাচিত প্রতিবাদ করে মানুষ দেখাচ্ছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কত লড়াই করছি! বলতে পারেন, অসুবিধা নেই। মানুষের মন গলবে না। কিন্তু মানুষের মন গলবে না। মানুষ সম্পূর্ণ একটা ফ্লপ সরকারের নির্বাচনে যাচ্ছে'। এদিকে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য স্বাগত জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের পাল্টা দাবি, 'দেশের প্রধানমন্ত্রী, তিনি প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। প্রান্তিক মানুষের উত্থান-পতনকে দেহ মন গিয়ে স্পর্শ করেন। সেকারণেই প্রধানমন্ত্রী একথা বলেছেন'।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)