Solar Eclipse : ইউএসএ-তে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখার প্রস্তুতি এখন জোরকদমে
এই সময় | ২৮ মার্চ ২০২৪
ভর দুপুরে ঘন অন্ধকার নেমে এলে দুর্ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়। এমনটাই আশঙ্কা করে আগামী ৮ এপ্রিল নির্দিষ্ট একটি এলাকা ধরে দেশের বহু স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউএস প্রশাসন। শেষবার ইউএসএ-তে সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল ২০১৭-র ২১ অগস্ট।এই ৮ এপ্রিলের পর ইউএসএ আবার পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখার সুযোগ পাবে ২০ বছর পর— ২৩ অগস্ট, ২০৪৪। অবস্থানগত কারণের জন্যই হয়তো উত্তর আমেরিকা মহাদেশ থেকে সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখার সুযোগ খুব বেশি হয় না। তাই ৮ এপ্রিল, এ বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ নিয়ে সে দেশে এখন উৎসাহ-উদ্দীপনা তুঙ্গে। আগ্রহ বাড়ছে কলকাতার আকাশপ্রেমীদের মধ্যেও।
‘ভর দুপুরেই আকাশে উজ্জ্বল হয়ে দেখা দেবে শুক্রগ্রহ আর বৃহস্পতি’, বলছেন এমপি বিড়লা তারামণ্ডলের সায়েন্টিফিক অফিসার বিপাশ দাশগুপ্ত। তিনি মনে করাচ্ছেন প্রায় ৪৪ বছর আগের একটি ঘটনা। বিপাশবাবু বলছেন, ‘১৯৮০ সালের সূর্যগ্রহণের সময়ে আমি হায়দরাবাদ থেকে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার দূরে নালগোন্ডায় ছিলাম। সেখানেও সব কিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।’
তাঁর কথায়, ‘পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার সময়ে চাঁদ যখন পৃথিবী আর সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখনই সূর্যগ্রহণ হয়। চাঁদের ছায়া যেখানে যেখানে পড়ে, সেখান থেকে গ্রহণ দেখা যায়।’ এ বার ইউএসএ যে গ্রহণ দেখতে চলেছে, তা আরও আকর্ষক হবে বলে মনে করছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা।
তাঁরা জানাচ্ছেন, ৮ এপ্রিলের সূর্যগ্রহণ একাধিক কারণে স্মরণীয় হবে। চাঁদের অবস্থান হলো অন্যতম কারণ। গ্রহণের আগের দিন চাঁদ পৃথিবীর নিকটতম অবস্থানে চলে আসবে। সে জন্য চাঁদের ব্যাস গ্রহণের দিন আপাত ভাবে পাঁচ শতাংশেরও বেশি বড় বলে মনে হবে। তা ছাড়া, গ্রহণের সময়সীমাও এ বারের আকর্ষণের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আমেরিকায় গ্রহণ সর্বাধিক ৪ মিনিট ২৮ সেকেন্ড ধরে দেখা যাবে। ইউএসএ-তে দেখা যাবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ, তবে তা নিয়ে উৎসাহের শেষ নেই কলকাতার শখের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সংগঠন, স্কাই ওয়াচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দে বলছেন, ‘বিভিন্ন সংস্থা গ্রহণের লাইভ স্ট্রিমিং করবে। যাঁরা আগ্রহী, তাঁরা অবশ্যই দেখবেন। আমাদের বেশ কয়েক জন সদস্য এখন ও দেশে রয়েছেন। তাঁরা ছবি পাঠাবেন। এটা এক মহাজাগতিক বিস্ময়। এই সুযোগ ছাড়ার কোনও মানে হয় না।’