• দেখি কে আটকায়? বৌয়ের নাইটি পরেই বুথে!
    এই সময় | ২৮ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: ভোট মানে অনেকের কাছেই একটা যুদ্ধ-যুদ্ধ ব্যাপার। যুযুধান প্রার্থীদের কাছে যেমন ভোট জেতাটাই শেষ কথা, কিছু ভোটারদের কাছে আবার নিজের ভোট নিজে দেওয়াটাই আল্টিমেট অ্যাচিভমেন্ট। অনেকে তো রীতিমতো যত্ন করে যতদিন সম্ভব বাঁচিয়ে রাখেন আঙুলে লাগানো ভোটের কালি! ভোটদান— নাগরিক অধিকার।আর পছন্দের প্রার্থী জিতে গেলে তো হইহই ব্যাপার। এ উত্তেজনার কোনও ভাগ হয় না। যাঁর হয়, শুধু তিনিই বোঝেন। এই উত্তেজনার ঠেলাতেই সে বার যেমন বাড়ির তারে টাঙানো বৌয়ের নাইটি পরেই ভোট দিতে চলে গিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর এক যুবক। সে-ও এক লোকসভা ভোটেরই গল্প। ২০১৪-র ভোট।

    ঘেরা ইভিএমে ভোট দিচ্ছেন নাইটি-পরা লোকটা— সম্ভবত ভোটকর্মীরাও এমন ‘সিনিক বিউটি’ দেখে নিজেদের উত্তেজনা চেপে রাখতে পারেননি। তাঁদেরই কেউ, কিংবা বুথ পাহারায় থাকা কোনও পুলিশকর্মী সেই ছবি তুলে ভাইরাল করে দিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু কেসটা কী? বৌয়ের নাইটি পরে ভোট দিতে আসাটা কি নিছক ভ্রান্তিবিলাস! নাকি, আদতে পাবলিসিটি স্টান্ট?

    ১০ বছর আগে, ১৬তম লোকসভা ভোটে কাণ্ডটা ঘটেছিল তামিলনাড়ুর কারুর লোকসভা কেন্দ্র। কারুর শহর লাগোয়া আরাভাকুরুচি এলাকার যুবকই সেবার বৌয়ের নাইটিতে রাতারাতি ফেমাস হয়ে উঠেছিলেন। তবে প্রথমে তিনি নাকি স্নান-টান সেরে সম্পূর্ণ নিজের পোশাক পরেই ভোট দিতে গিয়েছিলেন। সাদা জামা, আর আলমারি থেকে বের করা পাটভাঙা লুঙ্গি।

    কিন্তু অভিযোগ, ওই পোশাকে তাঁকে নাকি বুথে ঢুকতেই দেননি ভোটকর্মীরা! কেন? না, আপত্তিটা লুঙ্গিতে নয়। লুঙ্গির ছাপে। সূ্রের খবর, আপাদমস্তক ডিএমকে সমর্থক ওই যুবক বেছে বেছে যে লুঙ্গিটা পরে গিয়েছিলেন, তাতে প্রিয় দলের নির্বাচনী প্রতীক আঁকা ছিল। অতএব— চলবে না। কোনও রকম প্রচারসামগ্রী নিয়ে ভোট দিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে নির্বাচনী বিধিতে।

    তা হলে উপায়? হাল ছাড়তে নারাজ ক্রেজ়ি ভোটার কোনও রকম তক্ক-বিতক্কে না-গিয়ে তখনই ইউটার্ন নিয়ে বাড়ির দিকে দৌড় দেন। তারপর? বাড়ি ফিরে আবার আর এক ঝকমারি! বৌ ততক্ষণে ঘরে তালা দিয়ে পাড়া বেড়াতে বেরিয়ে গিয়েছে! পোশাকবদল তা হলে কী ভাবে সম্ভব? ভোট দিতে মরিয়া যুবক অবশ্য কিছুতেই দমে যাওয়ার পাত্র নন।

    ইতিউতি নজর ঘোরাতেই— ইউরেকা। উঠোনের তারে ঝুলছে বৌয়ের নাইটি। একটু ভেজা, কিন্তু তাতেই বা কী! সেই নাইটি গলিয়েই সটান বুথে। এবার? যতই হাসি পাক, এ পোশাক নিয়ে আর কোনও আপত্তি তুলতে পারেননি ভোটকর্মীরা। ভোটপ্রেমী যুবকও শেষমেশ নিজের ভোট নিজেই দিয়ে বুথ থেকে বেরোলেন যুদ্ধজয়ের হাসি নিয়ে।
  • Link to this news (এই সময়)