কামারহাটিতে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা! মৃত্যু ট্রাফিক পুলিশের, গ্রেফতার বাস চালক
এই সময় | ২৮ মার্চ ২০২৪
সাত সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কামারহাটিতে। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মীর। মৃত ট্রাফিক পুলিশের নাম প্রিয়দশ সরকার ওরফে সঞ্জয়। দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্বে কাজ করতেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের আবহ গোটা এলাকায়। আটক ঘাতক বাসের চালক।ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা কামারহাটির রথতলা মোড়ে। বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালো ট্রাফিক কর্মী। রথতলার মোড়ে বাসের চাকায় পিষ্ঠে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার সঞ্জয় দাস ওরফে প্রিয়দশ সরকার। বিশেষ ভাবে সক্ষম সঞ্জয় দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে বি টি রোডে ট্রাফিকের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মদ্যপ অবস্থায় এক বেসরকারি বাস বেলঘরিয়া জেনিথ হাসপাতালের সামনে থেকে রথতলা মোড় হয়ে ব্যারাকপুরের দিকে যাচ্ছিল। আর সেই সময় রথতলা মোড়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত ছিল সঞ্জয়। তাঁকে আচমকাই ধাক্কা দেয় বাসটি। ভারসাম্য হারিয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে বাসের চাকায় পিষে যায় সে।
কামারহাটি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বিবেকানন্দ পল্লী এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় ওরফে প্রিয়দশ। তাঁকে সকলে সঞ্জয় বলেই চেনে। রথতলা মোড়ে পুরসভার সামনে দাড়িয়ে নিজের কাজে মত্ত থাকত সে। তার এই ধরনের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শোকাহত এলাকার সকল মানুষেরা। ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা সকল অফিসাররা ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। বাসটিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এলাকার মানুষেরা। ঘটনাস্থলে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ এলে গাড়ির চালক শিব হালদার সহ বাসটিকে আটক করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানান। এক বাসিন্দা বলেন, ‘মদ খেয়ে গাড়ি চালাবে কেন? এভাবে তো অনেক মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। যে গাড়িরই চালক হোক, এভাবে মদ খেয়ে গাড়ি চালানো তো আইনবিরুদ্ধ। আমাদের পাড়ায় থাকত ওই ছেলেটি। তাঁকে এভাবে মেরে দিল। কড়া শাস্তি হওয়া উচিত ওই চালকের।’ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয় কামারহাটি রথতলা মোড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।