• বিয়ের ২৬ বছর পরও বাপের বাড়ির ‘আঢ্য’ পদবীই ব্যবহার করেন অপরাজিতা, কেন জানেন
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ মার্চ ২০২৪
  • টলি পাড়ার ব্যস্ত অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। কর্মজীবনের পাশাপাশি সমান তালে সংসার জীবনটাকেও সামলে রেখেছেন। একের পর এক ছবি ও ধারাবাহিকের শ্যুটিং। এত ব্যস্ততার মাঝেও ২৬ বছরের বিবাহিত জীবন সুস্থ ভাবে কাটাচ্ছেন ‘জল থই থই ভালোবাসা’-র ‘কোজাগরী’ তথা অপরাজিতা। ছোটপর্দার আদর্শ বউমা তিনি, বাস্তব জীবনেও লক্ষ্মীমন্ত বউ। 

    ২৬ বছরের সুখী দাম্পত্য অপরাজিতা আঢ্য ও অতনু হাজরার। অপরাজিতার স্বামীও ইন্ডাস্ট্রির চেনা মুখ। টলিপাড়ার টেকনিশিয়ান অতনু হাজরাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন অপরাজিতা। জমিয়ে করছেন সংসার। কিন্তু এই ২৬ বছরেও একটা জিনিস নিজের জীবন থেকে বাদ দিতে পারেননি তিনি। তা হল অভিনেত্রীর পদবী। বিয়ের আগে ‘আঢ্য’ পদবী ছিল অপরাজিতার। বিয়ের পর স্বামীর পদবী ‘হাজরা’ গ্রহণ করেননি তিনি। এ বিষয় সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি। বিয়ের পর কেন তিনি পদবী পালটাননি তিনি? এ বিষয় টিভি নাইন বাংলাকে অপরাজিতা বলেছেন, ‘কেন পাল্টাতে যাব বলুন তো? এই পদবীটা আমার একান্ত নিজস্ব। এই পদবীটার সঙ্গে আমি বড় হয়েছি। জন্মের পর থেকে অপরাজিতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আঢ্য় পদবীটা। বিয়ের পর হঠাৎ করে হাজরা হয়ে যাব। তাও আবার হয় নাকি!’ বাপের বাড়ির পদবী এখনও ব্যবহার করেন অভিনেত্রী। 

    যদিও বিয়ের এত বছর পরেও স্বামীর সঙ্গে অপরাজিতার রোম্যান্স কিন্তু এখনও বেশ মাখোমাখো। কেমন ছিল সম্পর্কের শুরুর দিনটা? জানা যায়, এক টেলিফিল্মের শ্য়ুটিংয়ে তালসারি গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানেই মনের কথা অপরাজিতাকে জানিয়েছিলেন অতনু। কিন্তু মন গলেনি নায়িকার। বিয়ের প্রস্তাব সরাসরি নাকোচ করে দেন। তালসারির এক বালির স্তুপে বসে শট দিচ্ছিলেন অপরাজিতা। তা শেষ হতেই অতনু এসে জানতে চান, ‘তুমি কি আমায় বিয়ে করবে?’

    মনের মানুষের থেকে নেতিবাচক জবাবে মন ভেঙেছিল অতনুর। তবে হাল ছাড়েননি। চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন অপরাজিতার মন জেতার। এই প্রেম কাহিনির সূত্রধর ছিলেন অপরাজিতার বান্ধবী অমৃতা। আজ আর তিনি বেঁচে নেই। অমৃতাকে ধরেই মনের কথা অপরাজিতার কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন অতনু। এরপর অমৃতার হাত ধরেই অতনুর বাড়িতে হাজির হন অপরাজিতা। অতনুর মা-কে দেখেই আলাপ জমান অপরাজিতা। প্রথম দেখাতেই দুজনেই দুজনকে আপন করে নেন। ওইদিনই অভিনেত্রী মনে মনে ঠিক করেন, এই শাশুড়িমাই তাঁকে আগলে রাখবে। তাই বিয়ে তো এই বাড়িতেই করব।

    বিয়ের ২৬ বছরেও ছবিটা বদলায়নি। বউমাকে আজও চোখে হারান অতনু হাজরার মা। শাশুড়িমা বলতে অজ্ঞান অপরাজিতা। শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে মজবুত বন্ডিং অপরাজিতার। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি রাহু, তিনি কেতু। একই লোক দু’জনে। বিষ্ণু তাঁদের আলাদা করে। আমি মনে করি, তিনি এবং আমি মণিকাঞ্চন যোগ… আমি এবং আমার শাশুড়িমা একে-অন্যের জন্যই তৈরি।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)